chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

কর্ণফুলী নদীকে বাঁচাতে ৫ সংগঠনের আহবান

কর্ণফুলী নদী দখল ও দূষণ মুক্ত, অবৈধ বালু উত্তোলন,নদীর অপরিকল্পিত ব্যবহার, শিল্প কলকারখানা অপরিশোধিত রাসায়নিক ও ডায়িং এর বিষাক্ত বর্জ্য থেকে কর্ণফুলীকে বাঁচাতে এবং হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কর্ণফুলী নদীর উভয় তীরের দুই সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করা, নতুন করে কর্ণফুলী দখল বন্ধ করা এবং সদরঘাট সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে আরকেএস ফাউন্ডেশন ( রেজাউল করিম সিকদার ফাউন্ডেশন) সহ ৫টি সংগঠন।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারী ) সকালে কর্ণফুলী নদীর তীরে (চাক্তাই খালের মোহনা) আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ি ২০২০ সালের ৪ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ৫ দিন অভিযান চালিয়ে ৩ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর কেন বাকি দুই হাজারের অধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়নি তা জেলা প্রশাসন ও বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে জনগণ জানতে চায়।

সম্প্রতি কর্ণফুলী তীরে আবারও দখল কার্যক্রম চলমান থাকলেও জেলা প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে।

বক্তারা আরো বলেন, ৯২ শতাংশ অর্থনীতির সঞ্চালক কর্ণফুলী নদীর সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীর উভয় তীরে টিকে থাকা প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট ৫৫৮ প্রকারের গাছ রক্ষা করতে হবে।

হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী ২১৮১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করার কারণে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এবং বন্দর কর্তৃপক্ষকে আদালতের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে।

বক্তারা বলেন, কর্ণফুলী দিন দিন দখল ও দূষণের কারণে ইতিমধ্যেই ৬৩ প্রকার নদীর মাছ ও প্রাকৃতিক জীব বৈচিত্র ধ্বংস হয়ে গেছে। সম্প্রতি ইকো নামের একটি সংগঠনের গবেষণায় দেখা গেছে বঙ্গোপসাগরের মোহনা থেকে কাপ্তাই পর্যন্ত কর্ণফুলীর দুই তীরে ৫২৮ প্রজাতির উদ্ভিদ শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৮১ প্রজাতির উদ্ভিদ বিলুপ্তির পথে আছে। দূষণ ঠেকাতে উদ্যোগ না নিলে আরও ৬১ প্রজাতির উদ্ভিদ বিপন্ন হয়ে যাবে।

ইউনাইটেড সোস্যাল নেটওয়ার্ক’র নির্বাহী সাংবাদিক ও পরিবেশ আন্দোলন কর্মী মুজিব উল্ল্যাহ্ তুষার ও দিলরুবা খানম ছুটির সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন লায়ন চৌধুরী মোহাম্মদ আনোয়ারুল আজিম।

মানববন্ধন সমাবেশে বক্তাব্য রাখেন, সংগঠনের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, পরিবেশ আন্দোলন নেতা সাংবাদিক আলীউর রহমান, আরকেএস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক লায়ন জাহেদুল করিম বাপ্পি সিকদার, কৃষিবিদ কাজী গোলাম মোস্তফা, সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক ফরহাদ আনোয়ার চৌধুরী, মো. কামাল উদ্দিন, মাহবুব রহমান সুজন,ছাত্রলীগ নেতা মিঠুন দে, মোর্শদ আলম, মোহাম্মদ হাসান,আসাব উদিন,আবসার উদিন অলী,ফয়েজ, কমির,মাসুদ রানা, জানাতুল নাঈম নিশি, কর্ণফুলী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন সহ সভাপতি জাফর আহমদ প্রমুখ।

  • ফখ|চখ
এই বিভাগের আরও খবর