chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

সাতকানিয়ায় পুলিশ পরিচয়ে ইটভাটায় ডাকাতি

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ন্যাশনাল ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারার্জ (এনবিএম) ইটভাটায় পুলিশ পরিচয় দিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অফিসে ঢুকে ডাকাতি করার অভিযোগ ওঠেছে।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ভোর ৫টায় উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের কেরানিহাট গরুর বাজার সংলগ্ন এনবিএম ব্রিকফিল্ড নামক ইটভাটায় এ ঘটনা ঘটে।

এনবিএম ব্রিকফিল্ডের ম্যানেজার রহমত উল্লাহ বলেন, ফজরের একটু আগে ১০/১৫ একদল সশস্ত্র ডাকাত ইটভাটার অফিসের সামনে এসে নৈশপ্রহরী শাহজাহানকে বলে আপনি কে? তখন নৈশপ্রহরী বলেন, আমি এখানকার দারোয়ান। তখন তাকে বলে আমরা পুলিশের লোক অফিসে কে কে আছেন? তখন নৈশপ্রহরী বলেন, অফিসে কেরানী আছে তখন অস্ত্রের মুখে নৈশপ্রহরীকে দিয়ে কেরানী রুকনকে খুলতে বাধ্য করা হয়, অফিস খোলার সাথে সাথে নৈশপ্রহরী ও কেরানীকে অফিসের ভেতরের আরেকটি রুমে আটকে রাখা হয়।

এরপর সকলের মোবাইল ফোন, সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক, ডিসপ্লেসহ যাবতীয় যন্ত্রপাতি এবং ক্যাশ টেবিল বাক্স ভেঙে নগদ টাকা ও ৩টি এন্ড্রয়েড এবং ৪টি বাটন মোবাইল নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি অফিসের যাবতীয় কাগজপত্র তছনছ করে চলে যায়।

নৈশপ্রহরী শাহজাহান বলেন, পুলিশের লোক পরিচয়ে ইটভাটায় ঢুকে সবাইকে জিন্মি করে ১০/১৫ জনের ডাকাতদল, তাদের সকলের হাতে অস্ত্র ছিলো, কয়েকজন মুখোশ পরিহিত ছিলো, তাদের মধ্যে কয়েকজনকে উপজাতি বলে মনে হয়েছে। ৫/৬ জনের হাতে অস্ত্র থাকায় আমরা কাউকে কিছু করতে পারিনি।

এনবিএম ব্রিকফিল্ডের মালিক মঈন উদ্দীন বলেন, ফজরের সময় এই ঘটনা ঘটছে। আমার মনে হচ্ছে এটা ডাকাতি নয়, আমাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করাই তাদের মূল লক্ষ্য ছিলো। কারণ আমাদের ইটভাটায় নগদ টাকা থাকেনা, আমার ড্রয়ারে ৫০ হাজার টাকা ছিলো এবং ম্যানেজারের ড্রয়ারে ৫ হাজার টাকা ছিলো। শ্রমিকদের কাছে নগদ যা ছিলো সেসব নিয়ে গেছে। দুর্বৃত্তরা সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক, ক্যামেরা, ডিসপ্লে মোবাইল, এসব নিয়ে গেলেও ম্যানেজারের একটি ল্যাপটপ এবং একটি দামী চার্জিং ফ্যান ছিলো সেগুলো নিয়ে যায়নি।

এতে বুঝা গেছে ডাকাতি নয় ভয়ভীতি প্রদর্শন মুল লক্ষ্য ছিলো তাদের। এছাড়াও তাঁরা চলে যাওয়ার সময় আমার শ্রমিকদের শাসিয়ে যায় তোদের মালিককে বেশি বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করিস। আমি এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিব।

সাতকানিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ন কবির বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, প্রাথমিক তদন্ত শেষ করেছি এবং তদন্ত অব্যাহত আছে। এখনো পর্যন্ত মালিকপক্ষ কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

 

মুন/চখ

এই বিভাগের আরও খবর