চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও মিরসরাই উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ৭ বসতঘর।
বাঁশখালীতে আগুন
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় উপজেলা কালীপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ কোকদন্ডীতে এ ঘটনা ঘটে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, জীবন বীমা কর্পোরেশনের উন্নয়ন ম্যানেজার বাদল কান্তি দেব ও সুমন দেব।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার জানায়, আনুমানিক ১০টার দিকে ঘরের বৈদ্যুতিক মিটার থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।আগুনের শিখা মুহূর্তেই চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়লে সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসকে খবরটি জানানো হয়। তবে ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তারা আরো জানায়, আগুনে বসতঘরের সব মালামাল পুড়ে গেলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ২০ লক্ষাধিক টাকা।
মীরসরাইয়ে পুড়লো ৫বসতঘর
এ দিকে চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলায়ও অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ৫ বসতঘর।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার ৬নং ইছাখালী ইউনিয়নের জমাদার গ্রামের সিদ্দীক ডাক্তার বাড়ি ও ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ইছামতি গ্রামের এয়ার আলী হাজী বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- তিন ভাই আব্দুর রহমান, খোরশেদ আলম, নুরুল আলম মানিক ও শফিউল আলম। এছাড়া একই বাড়ির নাছির উদ্দিনের বসতঘরও পুড়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানায়, আগুন বেশি ছড়িয়ে পড়ার আগে এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসায় তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। অগ্নিকাণ্ডে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, আসবাবপত্র, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ইছাখালী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মীর হোসেন বলেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে মুহূর্তের মধ্যে ৫টি বসতঘর পুড়ে গেছে। ঘরের একটি জিনিসও রক্ষা করা যায়নি। ওই পরিবার সবকিছু শেষ হয়ে এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।
মীরসরাই ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশন কর্মকর্তা ইমাম হোসেন পাটোয়ারি বলেন, ঘটনাস্থল অনেক ভেতরে হওয়ায় যেতে কিছুটা দেরি হয়েছে। তারপরও আমরা গিয়ে ওই বাড়ির আরো অনেকগুলো ঘর রক্ষা করতে পেরেছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তাধীন রয়েছে।
মুন/ফখ/চখ