এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স নিয়ে পাঠ্যবইয়ে পড়বে শিক্ষার্থীরা
বুধবারের বিশেষ রিপোর্ট
চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ সেবন, ওষুধের কোর্স সম্পন্ন না করায় এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হয়।পরবর্তীতে এন্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করলেও তা শরীরে কাজ করে না। কিন্ত অধিকাংশ মানুষই তা সচেতন নয়। এ বিষয়টি সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স’ বিষয়টি পাঠ্যসূচিতে যোগ করছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। শিক্ষার্থীরা এ বিষয়টি পাঠ্যবইয়ে পড়বে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এস এম সুলতানুল আরেফিন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এন্টিবায়োটিক ওষুধ ফুল কোর্স সম্পন্ন না করলে মানবদেহে মারাত্মক ক্ষতি হয়। তাই এন্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন, ক্রয়-বিক্রয়ে সকলকে সচেতন করতে হবে। তবে এ নিয়ে একটি সুখবর আছে তা হলো- এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স’ বিষয়টি পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। এটির বাস্তবায়ন প্রায় শেষ। এখন বিষয়টি মন্ত্রিসভায় রয়েছে। আশা করি আগামী ২ বছরের মধ্যে তা পাঠ্যপুস্তকে আসবে। যার ফলে রেজিস্ট্যান্সের ভয়াবহতা সম্পর্কে জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এখন প্রতি মাসে ২-৩ বার বিভিন্ন উপজেলায় এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সম্পর্কে সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করি। সেখানে অত্র এলাকার ওষুধ ব্যবসায়ী ও মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়। আগে কোনো আইন ছিলো না। যার কারণে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেত না। বর্তমানে ওষুধ ও প্রসাধনী আইন, ২৩ হয়েছে। অনিয়ম পেলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
তিনি বলেন, ‘সকল ওষুধের গায়ে এখন লাল বর্ডার দিয়ে ‘এন্টিবায়োটিক’ লেখা থাকে। সকল ওষুধ কোম্পানিকে বিষয়টি বলা হয়েছে এটা। গত ১ বছর ধরে এ লেখাটি রাখা হচ্ছে। তবে এখনও কিছু ওষুধের গায়ে লেখা নাও থাকতে পারে। কারণ অনেকের কাছে পুরোনো ওষুধও থাকতে পারে। যেটা তারা ১২-১৩ মাস আগে তৈরি করেছিলেন। কিন্তু আইন হওয়ার পর সকল এন্টিবায়োটিক ওষুধে লেখা রয়েছে।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সকে মানব সভ্যতার ১০টি স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে অন্যতম হিসাবে ঘোষণা করেছে। বর্তমানে প্রতিবছর ১২ লক্ষ ৭০ হাজার লোক মারা যায় এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সে। তাই এ বিষয়টি সকলের জানা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীরা বইয়ে পড়লে এটা হবে ভালো পদক্ষেপ।
ফখ|নচ|চখ