chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

নির্বাচনী গুজব ঠেকাতে ফেসবুক-টিকটক-গুগলের বিশেষ পদক্ষেপ

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ও মিথ্যা ছড়াতে দেবে না ফেসবুক, টিকটক ও গুগল। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর নির্বাচন সংক্রান্ত মিথ্যা কিংবা উসকানিমূলক কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন ৪০ হাজার কর্মী। শুধু বাংলাদেশিদের জন্য নির্বাচনের সঠিক তথ্য জানাতে ‘বাংলাদেশ ইলেকশন সেন্টার’ নামে হাব তৈরির কথা জানিয়েছে টিকটক।

আসছে ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণকে সামনে রেখে ডিজিটাল মাধ্যমে চলছে প্রচার-প্রচারণা। তবে প্রচারণার নামে নিজেদের প্লাটফর্মে গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়াতে দেবে না ফেসবুক, টিকটক ও গুগল।

টিকটক জানিয়েছে, নির্বাচনে সরাসরি মিথ্যা তথ্য, সহিংসতা এবং বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের প্রচার নিয়ন্ত্রণে কমিউনিটি গাইডলাইনসে দেয়া হয়েছে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা। প্রার্থীর যোগ্যতা, ভোটার নিবন্ধন, ব্যালট গণনা ও নির্বাচনের ফলসহ আরও অনেক বিষয় নীতিমালার আওতায় পড়বে। সব নিয়মের ভিত্তিতে নির্বাচনসংশ্লিষ্ট বিভ্রান্তিকর তথ্য দ্রুত সরিয়ে দেবে প্ল্যাটফর্মটি।

নির্বাচনসংশ্লিষ্ট যে কোনো তথ্যের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গেল ২৮ নভেম্বর, বিশ্বের বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশগুলোর নির্বাচন নিয়ে পলিসি ঘোষণা করেছে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। তারা বলছে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে নির্বাচনী প্রচারণা নিরাপদ করতে ৪০ হাজার কর্মী কাজ করছে। এসব কর্মী নির্বাচনী প্রক্রিয়া কিংবা ভোট প্রদানে ভোটারদের বাধা, উস্কানিমূলক বক্তব্য যা দ্বারা দাঙ্গা-হাঙ্গামা তৈরি হয় এসব কনটেন্ট চোখে পড়লে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

বিটিআরসি বলছে, গেল আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ফেসবুক, টিকটক ও গুগলের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। তাতে সাড়া দিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো।

বিটিআরসির কমিশনার ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচন ঘিরে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে অরাজকতার ঘটনা এর আগে অনেকে দেখা গেছে। মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে এগুলো ছড়ায়। এতে দেশের শান্তি বিঘ্নিত হয়। কিন্তু এবার ফেসবুক-গুগল সজাগ আছে। আমাদের সাথে কথা হয়েছে। গুজব বা সহিংসতামূলক কোনো কনটেন্ট দেখলেই তারা দ্রুত তা সরিয়ে ফেলবে।’

বিটিআরসির হিসাবে বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৩কোটি। এরমধ্যে ফেসবুক ব্যবহার করেন পাঁচ কোটির বেশি মানুষ।

 

মআ/চখ