chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

দোষ আমাদের, করোনা পায়ে হেঁটে কাউকে আক্রান্ত করেনি: নওফেল

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম-৯ আসনের এমপি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, আমাদের অনেকেই ঘুরে বেরিয়েছি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সামাজিক অনুষ্ঠানে ভীড় করেছি, করোনা সংক্রমিতও হয়েছি। এর প্রায় বেশিরভাগই নিজের দোষেই। করোনা নিজেই পায়ে হেঁটে, বা কারো কথায় কাউকে সংক্রমিত করেনি। আমাদের কারনেই হঠাৎ সংক্রমণ হার বেড়েছে।

নিজের ভেরিভাইড ফেসবুক পেজে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পৃথিবীর বেশিরভাগ উন্নত দেশ শতভাগ নিয়ন্ত্রণের আশেপাশেও যেতে পারেনি। মৃত্যুর সংখ্যা বিশাল। মানুষের হায়াত-মউত সবই উপর ওয়ালার হাতে। তবে প্রশ্নটি হলো আমরা আমাদের সর্বোচ্চ করেছি কি না। বাংলাদেশের মত দেশে আমেরিকার চিকিৎসা সেবা দাবী করা অনেকের আবার মৃত্যুর সংখ্যা আমেরিকার ধারে কাছেও না যাওয়ায় মনে কষ্ট আছে।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যা কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় চট্টগ্রাম শহর ও জেলায়, করোনা রোগিদের জন্য সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল সমূহে গড়ে উঠা অবকাঠামো বর্তমানে একটি ভালো অবস্থানে চলে এসেছে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামে বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও বিভিন্ন সংস্থা এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত আইসোলেশন সেন্টার গুলোতে প্রায় ৭৬৫ টি বেড এখনো খালি আছে। চট্টগ্রামের করোনা চিকিৎসায় তেমন একটা বেগ পেতে হবে না। এই অবকাঠামোর পাশাপাশি ডোর টু ডোর গৃহভিত্তিক হোম অক্সিজেন, ডাক্তার, নার্স ইত্যাদি সেবার ব্যবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, যা প্রচুর করোনা রোগীর চাহিদা পূরনে সক্ষম। বেসরকারি অনেক দাতা, কোম্পানি, রাজনৈতিক কর্মী, ব্যবসায়ী হাই ফ্লো নেজাল কেনোলা, সিলিন্ডার, ইত্যাদি দান করেছেন।

তিনি বলেন, সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ি মৃত্যুর সংখ্যা পুরো জেলা ও শহর মিলিয়ে ২% এর কম, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫% এর উর্ধে, যুক্তরাজ্যে প্রায় ১২%।চট্টগ্রাম সহ সারা দেশে প্রাথমিক পর্যায়ে ষড়যন্ত্রমূলকভাবেই স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের ভীতি সঞ্চারিত করা হয়, যার দরুন, সার্বিক গণস্বাস্থ্য ব্যবস্থা কিছুটা বিঘ্নিত হয়। এখন এই অবস্থার অনেক উত্তরণ হয়েছে।

শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামে আমরা সৃস্টিকর্তার দয়ায় মৃত্যুহীন কিছু দিনও দেখছি। তাই সকলের প্রতি আহবান সামনের দিনগুলোতে আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, জীবন ও জীবিকা দুটিই আমাদের করোনা মোকাবেলার সাথে সাথে রক্ষা করতে পারবো।
আমাদের মত দেশে উন্নত রাষ্ট্রের চাইতে মৃতের সংখ্যা এখনো অনেক কম, তবুও এক শ্রেনীর লোক প্রতিদিন হা হুতাশ করে চলেছে, একদিন লকডাউন দাবী করে আরেক দিন সবকিছুতে ছাড় চায়, আবার আরেক দিন চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যু হয়েছে করোনায় এই ধরনের প্রচারও করে চলছে।হ্যা, করোনায় অনেকের মৃত্যু হবে, এটাও মানতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই দেশটা অনেক এগুনোর পরে একটি মানব নিয়ন্ত্রণহীন মহামারীকে পুজি করে কিছু জল ঘোলাকারীর আলোচনা সমালোচনার সঠিক জবাব সময়েই দেবে।

করেনাযুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, এত কম সময়ের মধ্যে একটি টেকসই গণস্বাস্থ্য ব্যবস্থা আমাদের প্রয়োজনে কাজ করছে এবং আমরা এর সুফল দেখছি। আপনার সাহসী নেতৃত্বে আমরা মোকাবেলা করবো করোনাসহ যেকোনো দূর্যোগ।

এই বিভাগের আরও খবর