চমেকে শিশু ক্যান্সার বিষয়ে বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত
চিকিৎসা সেবা উন্নত হওয়ায় সঠিক সময়ে চিকিৎসা পেলে ক্যান্সার নিরাময় করা সম্ভব। বড়দের পাশাপাশি শিশুদের ক্যান্সার হয়। শিশু ক্যান্সার চিকিৎসা সেবার মান বাড়াতে দেশে প্রায় ৫০ জন শিশু ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ কাজ করছেন বলে মন্তব্য করছেন চিকিৎসকরা।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নতুন ভবনের কনফারেন্স হলে শিশু ক্যান্সার বিষয়ে বৈজ্ঞানিক সেমিনারে শিশু বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।
বক্তরা বলেন, শিশুদের ক্যান্সার সঠিক সময়ে , সঠিক চিকিৎসা দিলে নিরাময়যোগ্য । উন্নত বিশ্বে শিশু ক্যান্সারে আক্রাসন্ত প্রায় ৮০ শতাংশ. তবে আমাদের তা এখনো মাত্র ২০ শতাংশ। তার জন্য ২০১৮ সালের (যিড়) এর অধীনে জিআইসিসি উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই উদ্যোগের ফলে আাগমী ২০৩০ সালের মধ্যে শিশু ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের সুষ্ঠ করা সম্ভব। তাই শিশুদের ক্যান্সার হলে চিন্তিত হলে চলবে না।সঠিক সময়ে চিকিকৎসকের পরামর্শে সেবা দিতে হবে। দেশের চিকিৎসা সেবা বর্তমানে অনেক উন্নত হয়েছে।
বক্তরা আরও বলেন, শিশুদের এই রোগের প্রধান সমস্যা মাঝ পথে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেওয়া। অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার কারণে দীর্ঘদিন অনেকে এ সেবা চালিতে নিতে পারে না। তাই সরকারের এই খাতে নজর দিতে হবে।
সেমিনারে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান, চমেকের অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রফেসর ডা. আফিকুল ইসলাম, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক ) হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. সাহানুর ইসলাম, মা ও শিশু হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মাহামুদ এ চৌধুরী আরজু, চমেক হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. এ কে এম রেজাউল করীম প্রমুখ বক্তব্য রেখেছেন।
মুন/চখ