chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রামে বৃষ্টি, জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে চট্টগ্রামে শুক্রবার দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত ছিল। এ কারণে নগরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে লোকজন পড়েছেন ভোগান্তিতে।

সরেজমিন দেখা গেছে, চট্টগ্রামের চকবাজার, শুলকবহর, বাকলিয়া, আসাদগঞ্জ, চাক্তাই, কাতালগঞ্জ ও আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা এবং কোথাও সড়কে দুই তিন ইঞ্চি পরিমাণ পানি উঠেছে। চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্প চলমান থাকায় বেশিরভাগ নালা বন্ধ হয়ে আছে। এছাড়া পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে সাগরে পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি।

চাক্তাই এলাকার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মামুন বলেন, দুপুরের দিকে সামান্য বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতেই পানি উঠে গেছে। রিকশায় করে বাসায় ফিরতে হচ্ছে।

বাকলিয়া মিয়াখান নগর, তত্ত্বারপুল, জামাই বাজার, বউ বাজার, আসাদগঞ্জ ও চাক্তাই এলাকায় অধিকাংশ সড়কে পানি জমে আছে। সেখানে পানি জমে থাকায় অনেককেই ময়লা পানির মধ্য দিয়ে হাঁটতে হয়েছে। ভুক্তভোগী সায়মা জাহিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। এতে রাস্তায় পানি জমে গেছে। তাহলে এত কাজ করে লাভটা কী হলো? এখন নোংরা পানির মধ্য দিয়ে চলতে হচ্ছে।
একই ধরনের ক্ষোভ প্রকাশ করে নগরের বাকলিয়ার ডিসি সড়কের বাসিন্দা সারা মুন্সী বলেন, প্রতিবছরই শুনি আগামীবার আর জলাবদ্ধতার অভিশাপ থাকবে না। কিসের কী? বৃষ্টি হলেই পানিতে রাস্তাঘাট তলিয়ে যাবে, এটাই নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। খালগুলোর ভেতরে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। ময়লা-আবর্জনাও ঠিকমতো পরিষ্কার করা হচ্ছে না। খাল ভরাট হয়ে আছে। তাই সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা হচ্ছে। কিন্তু এভাবে তো চলতে পারে না।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। সে সঙ্গে অধিকাংশ জায়গায় দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে, কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’-এর অগ্রভাগ বাংলাদেশের উপকূল স্পর্শ করেছে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলে বাতাসের গতি এরই মধ্যেই বেড়ে গেছে। এটি আরও অগ্রসর হচ্ছে। সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৭ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
চখ/ফখ

এই বিভাগের আরও খবর