chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে প্রকাশ্যে তামাকের প্রচারণা বেশি

সংশপ্তকের পর্যবেক্ষণ

 প্রতি বছর তামাকের পেছনে দেশের মানুষ ৩০ হাজার কোটি টাকার চেয়ে বেশী ব্যয় করেছে। তামাক সেবনের কারণে প্রতি বছর বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় (নিউ মার্কেট, কোতোয়ালী, রিয়াজউদ্দিন বাজার, কালুরঘাট) পৃথক এক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, নানাভাবে তামাক কোম্পানিগুলো তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন করে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে, বাজার, বাস স্টেশন ও জনবহুল এলাকায় তামাকের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণার হার বেশি।

আজ রোববার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের চেরাগী পাহাড়স্থ জাতীয় সাংস্কৃতিক মঞ্চে “তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন,তামাক কোম্পানি বেপরোয়া” শীর্ষক  সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য তুলে ধরেন সংশপ্তকের উপ-পরিচালক অগ্রদূত দাশগুপ্ত।

তিনি বলেন, বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে নানা অভিনব ও আকর্ষণীয় উপায়ে তামাকের প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি আইনে তামাকজাত দ্রব্যের কার্টনে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদানের বাধ্যবাধকতা থাকলেও সিগারেটের কার্টনে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদান করা হচ্ছে না। এছাড়াও ক্রেতা ও বিক্রেতাকে বিভিন্ন ধরনের উপহার সামগ্রী উপহার হিসেবে দেওয়া। সিগারেট সরবরাহের বাহনসমূহেও (ভ্যান, পিকাপ ভ্যান) তারা সিগারেটের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করছে। পাশাপাশি প্রচারণা ও বিপণন কাজে তরুণদের ব্যবহার করে কিশোর ও তরুণদের ধূমপানে উদ্বুদ্ধ করতে তাদের মধ্যে বিনামূল্যে সিগারেট বিতরণ করছে।

অগ্রদূত দাশগুপ্ত বলেন, তামাক ব্যবহারজনিত রোগে প্রতিবছর বাংলাদেশে ১ লক্ষ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায়। ১৫ লক্ষাধিক মানুষ তামাক ব্যবহারজনিত নানা জটিল রোগে ভুগছে। প্রতি বছর ৬১ হাজারের অধিক শিশু পরোক্ষ ধূমপানের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংশপ্তকের প্রোগ্রাম ফোকাল কৃষিবিদ মো. রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সদস্য কামরুল হুদা, গণমাধ্যম কর্মী র্প্রীতম দাশ, ওমর ফারুক, নজরুল ইসলাম ও আমিনুল হক লিটন প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি’ দ্রুত চূড়ান্ত এবং দেশব্যাপী যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণের দাবি জানান।

চখ/পরী

এই বিভাগের আরও খবর