শিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুন ,আমৃত্যু কারাদণ্ড ২ আসামির
চট্টগ্রামে পাঁচলাইশ থানার বাদুরতলা শাহ আমানত হাউজিং সোসাইটির এলাকায় দ্বিতীয় শ্রেণির নয় বছর বয়সী শিশুকে দলবেঁধে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার দুই আসামিকে আলাদা ধারায় দু’বার আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ রায় দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন।
দণ্ডিতরা হলেন, মো. জীবন (২৫) ও ইমন হাসান (২৬)। ঘটনার সময় তারা নগরীর পাঁচলাইশ থানার বহদ্দারহাট এলাকায় লোহা কলোনিতে ভাড়া থাকতেন।
মামলার নথিপত্র পর্যালোচনায় জানা গেছে, খুনের শিকার সালমা আক্তার (৯) নগরীর পাঁচলাইশ থানার বাদুরতলা শাহ আমানত হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দা মো. সোলায়মানের মেয়ে। বাসার পাশে আতাতুল ক্যাডেট মাদরাসায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত।
২০১৭ সালের ১৩ জুন বেলা সোয়া ১২টার দিকে সালমা কেনাকাটার জন্য দোকানের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়। দুপুর ২টার পরও বাসায় ফিরে না যাওয়ায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। ১০টি রিকশায় করে আশপাশের এলাকায় মাইকিং করা হয় নিখোঁজ সালমার সন্ধানে। কিন্তু খোঁজ না মেলায় ওইদিন সন্ধ্যায় পাঁচলাইশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সোলায়মান।
১৪ জুন রাত পৌনে ৩টার দিকে সালমার মামা মহিউদ্দিন নঈমী মার্কেটের সামনে গেলে তার নাকে গন্ধ লাগে।এরপর পরিবারের সদস্যরা তিনতলা নঈমী ভবনের তৃতীয় তলায় সিঁড়িঘরের পাশে ময়লার স্তূপে কাঠের বাক্সের ভেতর থেকে প্রায় ৩৯ ঘন্টা পর সালমার নিথর দেহ উদ্ধার করেন।
ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খন্দকার আরিফুল আলম জানান, ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া আসামি মো.জীবন ও ইমন হাসানকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (৩) ধারায় যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) কারাদণ্ড ও ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের একই দণ্ড দেন আদালত। উভয় দণ্ড একসঙ্গে চলবে। রায় ঘোষণার সময় আসামি দুইজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চখ/জুইম