chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

সংসদে সাইবার নিরাপত্তা বিল-২০২৩ পাস

‘সাইবার নিরাপত্তা বিল-২০২৩’ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। আইনটি কার্যকর হলে বিলের ৪২ ধারা অনুযায়ী সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তল্লাশি ও গ্রেফতারের ক্ষমতা পাবে পুলিশ। বিলের চারটি ধারা জামিন অযোগ্য রাখা হয়েছে। সাইবার সংক্রান্ত মামলার সর্বোচ্চ শাস্তি ১৪ বছরের জেল ও ১ কোটি টাকা জারিমানার বিধান রাখা হয়েছে। তবে এ আইনে দ্বায়েরকৃত মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হলে বাদীকে শাস্তি পেতে হবে।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। পরে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তিতে যে সুবিধা হয়েছে একই সঙ্গে সাইবার স্পেসে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। ২০১২ সালে রামুতে বিএনপি-জামায়াত শিবিরের সদস্যরা একটা মিথ্যা তথ্য ফেসবুকে-সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়ে কীভাবে অনেক সম্পদ ও প্রাণের ক্ষতি করে। ২০১৬ সালে কেন্দ্রিয় ব্যাংকে সাইবার হামলা চালিয়ে হ্যাকাররা ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি করে নিয়ে যায়। এরপর আমরা কম্পিউটার রেসপন্স টিম তৈরি করি।

তিনি আরো বলেন, পদ্মাসেতু নির্মাণের শেষ দিকে সামাজিক মাধ্যমে একটা গুজব ছড়ানো হলো সেতুর পিলার শক্ত করতে নাকি শিশুদের মাথা দরকার। তারই ফলশ্রুতিতে মিরপুরে রেনু নামে এক নারীকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়। এ ধরনের অপরাধ বন্ধে বিলটি প্রণয়ন করা হয়েছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে যেগুলো জামিন অযোগ্য ধারা ছিল তা জামিনযোগ্য করা হয়েছে।

এর আগে, জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নে গত ৫ সেপ্টেম্বর বিলটি সংসদে তোলা হয়। এরপর বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। ঐ বিলের ৪২ ধারায় বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়া আছে পুলিশকে। এখানে সংশোধনী এনে বলা হচ্ছে, এই ধারায় সাব ইন্সপেক্টর পর্যায়ের কর্মকর্তার জায়গায় পরিদর্শক (ইনপেক্টর) পর্যায়ের কর্মকর্তা বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেফতার করতে পারবেন।

চখ/জুইম

এই বিভাগের আরও খবর