জাতীয় গ্রিডে যোগ হলো মাতারবাড়ীর ৬শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ
মহেশখালীর মাতারবাড়ীর ১২শ’ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে উৎপাদন শুরু হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে সেই বিদ্যুৎ যুক্ত হয়েছে জাতীয় গ্রিডে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকার চাহিদা পূরণে এই বিদ্যুৎ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানালেন সংশ্লিষ্টরা।
কক্সবাজার থেকে ৩৩ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে মাতারবাড়ী। এখানেই নির্মাণ করা হয়েছে জাপানি প্রযুক্তির এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ১২শ’ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছে। জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়েছে প্রথম ইউনিটের পুরো ৬শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ শেষ হয়েছে ৯৬ শতাংশ। চলতি বছরের শেষ দিকে প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। আর দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ মিলবে আগামী বছরের জুন থেকে।
কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির নির্বাহী পরিচালক নাজমুল হক জানান, আমরা পরের মাসে ট্রায়াল রান দিবো। পরে ধাপে ধাপে বাকিগুলো হবে বলে আশা করছি।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লার জোগান দিতে নির্মাণ করা হচ্ছে আধুনিক একটি জেটি। মাতারবাড়ীর ধলঘাট এলাকায় এক হাজার ৩১ একর জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর। এটির নির্মাণ শেষ হলে ৮ হাজার ২০০টি ই ইউ এস ক্ষমতাসম্পন্ন কনটেইনার বহনকারী জাহাজ এখানে নোঙর করতে পারবে।
ফলে পণ্য নিয়ে সিঙ্গাপুর, কলম্বো আর মালয়েশিয়ার বন্দরে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের আর অপেক্ষায় থাকতে হবে না।
মাতারবাড়ী প্রকল্পকে দেশের বিদ্যুৎ উন্নয়নে একটি অগ্রগতি বললেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য। জানালেন এটি কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও অবদান রাখবে।
কুতুবদিয়ার মহেশখালীর সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, আগামীদিনে ইকোনমি জোন, পর্যটন শিল্পসহ আরও উন্নয়ন হবে। আমাদের এ নিয়ে পরিকল্পনা আছে।
এমন বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হবে বলেও জানান তারা।