chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

আফগানিস্তানকে রুখে দিল বাংলাদেশ

তিন তিনবার তো প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে একা পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডরা। ফলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের দারুণ সুযোগ পেয়েও ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো জামাল-তপুদের।

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে কুয়েতের বিপক্ষে খেলা একাদশ অপরিবর্তিত রেখে রবিবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২ ম্যাচ প্রীতি সিরিজের প্রথম ম্যাচের একাদশ সাজিয়েছিলেন বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। অর্থাৎ স্বীকৃত কোন নম্বর-৯ ছাড়াই দল সাজান কোচ। এক পাশে রাকিব হোসেন ও অন্য পাশে শেখ মোরসালিনের ওপর ছিল গোলের দায়িত্ব।

দ্রুতগতির দুই ফরোয়ার্ড পুরো প্রথমার্ধ জুড়েই বারবার হানা দিয়েছে কিছুটা ধীরলয়ে শুরু করা আফগানিস্তান ডিফেন্সে। গোলের সুযোগও তারা তৈরী করেছে। তবে সেগুলো শেষ পর্যন্ত গোলে রূপ দেওয়া যায়নি বলে প্রথমার্ধ শেষ হয়েছে গোলশূণ্য সমতায়।

ম্যাচের সপ্তম মিনিটে বক্সের ডান প্রান্ত থেকে সতীর্থের উদ্দেশ্যে ক্রস করেন রাকিব। তবে একটু এগিয়ে থাকায় সেই বলের নাগাল পাননি তরুণ মোরসালিন। ম্যাচের ১৬ মিনিটে বক্সের ঠিক বাইরে সোহেল রানা জুনিয়র ফাউলের শিকার হলে ফ্রি-কিক পেয়েছিল বাংলাদেশ।

জামাল ভূঁইয়ার ফ্রিকিক থেকে বল পেয়ে মোরসালিনের দূর্দান্ত প্রচেষ্টা অবশ্য রুখে দেন এক আফগান ডিফেন্ডার। ২২ মিনিটে রাকিবকে গোলের দারুণ সুযোগ তৈরী করেন দেন মোরসালিন। দুই ডিফেন্ডারের মাঝখান দিয়ে তার বাড়ানো থ্রু ধরলে শট নিতে দেরী করে ফেলেন রাকিব।

পরে তার নেওয়অ শট ব্লক করে দলকে আফগানদের বড় বিপদ থেকে রক্ষা করেন মোসওয়ার আহাদি। ২৬ মিনিটে বিপদ হতে পারত বাংলাদেশেরও। বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে আহাদির ক্রস গোলমুখের জটলা থেকে ফিরলে ফিরতি বলে ওয়ালিজাদার জোরালো শট তারিক কাজীর পায়ে লেগে দিক বদলিয়ে বাইরে যায়।

দুই মিনিট পর কিপার ফাইসাল আহমেদ হামিদির ভুলে বিপদে পড়তে পারতো আফগানিস্তান। ডি-বক্স ছেড়ে অনেকটা বেড়িয়ে এসে একটি বল ক্লিয়ার করেন। সেখানে মোরসালিন ছিলেন।

তবে তিনি বলে নাগাল পাওয়ার আগেই ঝুকি নিয়ে সফল হন আফগান কিপার। প্রথমার্ধের শেষ দিকে অবশ্য গুছিয়ে উঠে খেলতে দেখা গেছে আফগানিস্তানকে। তবে তারা আর সেভাবে গোলের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর