chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ভাইকে হত্যা ১৯ বছর পর সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

ফেনীর সোনাগাজীতে আপন চাচাতো ভাইকে কুপিয়ে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. সিরাজুল ইসলামকে (৪৪) দীর্ঘ ১৯ বছর পর র‌্যাব-৭ ও র‌্যাব-১১ যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করেছে।

সোমবার (০৩ জুলাই) নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় থেকে গ্রেফতার করা হয়। মো. সিরাজুল ইসলাম ফেনীর সোনাগাজী থানার চর সাহাভিকারী গ্রামের মৃত আহছান উল্লাহর ছেলে।

মঙ্গলবার (০৪ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম র‌্যাব-৭ এর ফেনী কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মো. শহিদুল্লা (২৬) সোনাগাজী থানাধীন চর সাহাভিকারী এলাকার বাসিন্দার সঙ্গে তার আপন চাচার পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ-বণ্টন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বিরোধের জেরে গত ২০০৪ সালের ২৮ মে বিকেলে শহিদুল্লাহ ও তার আপন দুই ভাই তাদের কেটে রাখা গাছ পুকুর থেকে ট্রলি গাড়িতে ওঠানোর সময় চাচা এবং চাচাতো ভাইয়েরা সঙ্গবদ্ধভাবে শহিদুল্লাহ ও তার ভাইদের ওপর অতর্কিতভাবে লাঠি, লোহার রড, ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে, কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন শহিদুল্লাহসহ তার অপর দুই ভাইকে মুমূর্ষু অবস্থায় সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফেনী সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ২৯ মে শহিদুল্লাহর মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় ৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলার পর থেকে সিরাজুলসহ আসামিরা আত্মগোপনে চলে যান। দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় আদালত পুলিশি তদন্ত ও সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের অনুপস্থিতিতে মো. শহিদুল্লাকে হত্যার দায়ে ২০১২ সালের ৭ আগস্ট সিরাজুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ০১ বছরের কারাদণ্ড দেন।

পরে র‌্যাব-৭ সিরাজুলকে গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরধারী ও ছায়াতদন্তের একপর্যায়ে গোপন সূত্রে সিরাজুলকে নারায়ণগঞ্জ এলাকায় অবস্থানকালে আটক করে।

র‌্যাব-৭ এর ফেনী কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে সিরাজুল হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মর্মে স্বীকার করেন। সিরাজুল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে নারায়ণগঞ্জ জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মনামে আত্মগোপন করে ছিল। আসামি বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোনাগাজী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’

SY

এই বিভাগের আরও খবর