chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

আড়তদাররা বেশি দামে লবণযুক্ত চামড়া বিক্রি করতে চান

এবার সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে লবণ যুক্ত চামড়া বিক্রি করতে চাইছেন পোস্তার আড়তদাররা। কোরবানির ঈদে সংগ্রহ করা চামড়ার দাম বর্গফুট প্রতি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হলেও তারা সেটি বিক্রি করতে চাইছেন ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়।

এবার সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে লবণ যুক্ত চামড়া বিক্রি করতে চাইছেন পোস্তার আড়তদাররা। কোরবানির ঈদে সংগ্রহ করা চামড়ার দাম বর্গফুট প্রতি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হলেও তারা সেটি বিক্রি করতে চাইছেন ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়।

আড়তদারদের যুক্তি, এবার তারা চড়া দামে লবণ কিনেছেন। তাই, ট্যানারি মালিকদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করে সেই খরচ তুলতে হবে।

তবে ট্যানারি মালিক সমিতি বলছে, আন্তর্জাতিক বাজার অনুযায়ী দাম ঠিক করেছে সরকার। ফলে নির্ধারিত দামেই চামড়া বিক্রি করা উচিত।

কোরবানির চামড়া ক্রয়–বিক্রয়ের দেশের সবচেয়ে বড় জায়গা পুরান ঢাকার লালবাগের পোস্তা। সারা বছরের চামড়ার প্রায় অর্ধেকই আসে কোরবানির ঈদের মৌসুমে।

এবার চামড়ার বাজার গত কয়েক বছরের চেয়ে ভালো। কোরবানির সংগ্রহ করা পশুর চামড়ায় লবণ দেয়া শেষ। এখন বিক্রির অপেক্ষা। আগামী সপ্তাহ থেকে জমে উঠতে কাঁচা চামড়ার পাইকারি বাজার হিসাবে খ্যাত পুরনো ঢাকার পোস্তা।

এখন আলোচনা চলছে, কি দামে এবার ট্যানারি মালিকদের কাছে চামড়াগুলো বিক্রি হবে, একে তো লবণের দাম বেশি, অন্যদিকে ট্যানারি মালিকদের কাছেও পাওনা অনেক টাকা। বছরের পর বছর এই পাওনার পরিমাণ বেড়ে চললেও পরিশোধ করছে না ট্যানারি মালিকরা।

তবে, পোস্তার আড়তদার সমিতি বলছে সব খরচ বিবেচনা করেই লবণ যুক্ত চামড়ায় এবার তিন টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। এখন নির্ধারিত সেই দাম অর্থাৎ প্রতি বর্গফুট চামড়া ট্যানারি মালিকরা কিনলেই কিছুটা হলেও লাভ মিলবে।

বাংলাদেশ হাইড স্কিন এন্ড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আফতাব খাঁন বলেন, গত বছর ৭৪ কেজি ওজনের লবণের বস্তার দাম ছিল একহাজার থেকে একহাজার ৫০ টাকা। এ বছর বেড়ে হয়েছে একহাজার ৬৫০ টাকা। স্বাভাবিকভাবে এর প্রভাব পড়েছে চামড়ার বাজারে।

তবে ট্যানারি মালিক সমিতি বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে মিলিয়েই দেশে চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আর পোস্তা থেকে উপযুক্ত দামেই তারা চামড়া কিনেন। তবে মাঝে মধ্যসত্বভোগীর দৌরাত্ম্য কমানো গেলে বাজারটি নিয়ন্ত্রণ সহজ হতো।

প্রসঙ্গত, গত বছর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও তা কার্যকর হয়নি। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে সারাদেশে কমদামে চামড়া বেচাকেনা হয়েছে। এমনকি ঢাকা শহরেও চামড়ার নির্ধারিত দাম কার্যকর হয়নি।

SY

 

এই বিভাগের আরও খবর