chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

তীব্র পানির সংকট চট্টগ্রামে,এক বালতি পানি ১০ কলসি ১৫ !

বৈশাখে ক্ষরতাপে প্রাণ যখন ওষ্ঠাগত, সে সময়ে ব্যবহায পানির জন্য সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে চট্টগ্রাম নগরীর কয়েকটি এলাকার বাসিন্দাদের।সারা দিনে ২ ঘণ্টার মধ্যেই নিজেদের প্রয়োজনীয় পানি সংগ্রহ করতে হয় তাদের । যার জন্য এক বালতি পানি ১০ কলসিপ্রতি ১৫ টাকা করে গুনতে হয়।

এটি শুধু সাগরিকা এলাকা নয়, নগরীর হালিশহর, আগ্রাবাদ, মুরাদপুর বহদ্দারহাটসহ বিশাল একটি অংশের লাখ লাখ মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তীব্র পানি সংকটে।

রহিমা বেগম নামে এক নারী জানান, গত দুই মাস ধরে পানির জন্য কষ্ট করছি। বাসায় পানি আসে না। এখন পানি কিনে খেতে হচ্ছে।

এলাকাবাসীরা অভিযোগ, সপ্তাহের অধিকাংশ সময় ওয়াসার পানির দেখা না মিললেও অনেক এলাকায় কিছু সময়ের জন্য পানি এলেও সে পানিতে মাত্রাতিরিক্ত লবণ। ফলে এ পানি খেয়ে অসুস্থ হচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা।

তরিকুল ইসলাম নানে একজন জানান, লবণাক্ত পানি খেয়ে অনেকেই ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

জানা গেছে, হালদা নদীর পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় চরম বেকায়দায় পড়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। প্রতিদিন জোয়ারের সময় অন্তত ৬ ঘণ্টা এ উৎস থেকে পানি উত্তোলন বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে সংস্থাটি। মুষলধারায় বৃষ্টি ছাড়া সমাধানের কোনো পথও নেই। এ অবস্থায় খাবার পানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন লাখ লাখ নগরবাসী।

সমস্যা সমাধানে নিজের অসহায়ত্ব তুলে ধরে ওয়াসা বলছে, বৃষ্টি না হওয়ায় কাপ্তাই লেকে পানি অস্বাভাবিক কমে গেছে। এতে শ্যাওলাযুক্ত পানির পাশাপাশি হালদার পানিতে লবণাক্ততার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় দুই পানি শোধনাগার থেকে পানির উৎপাদন কমে গেছে। ফলে রেশনিং করে পানি সরবরাহ করায় বিভিন্ন এলাকায় সংকট তৈরি হচ্ছে।

চট্টগ্রাম ওয়াসা ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহ বলেন, ১০ লাখ মিটার পানির উৎপাদন কমে কমে গেছে। এতে ওয়াসার লাইনে পানি যাচ্ছে না। এটা বৃষ্টি না হওয়া ছাড়া এখান থেকে মুক্তির উপায় নেই।

বর্তমানে চট্টগ্রাম ওয়াসার আবাসিক গ্রাহক সংযোগ ৭৮ হাজার ৫৪২টি ও বাণিজ্যিক সংযোগ ৭ হাজার ৭৬৭টি। আর এ সংযোগগুলোতে ৭৭০ কিলোমিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করে থাকে সংস্থাটি।

চখ/জুইম

এই বিভাগের আরও খবর