chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

করোনার দিনেও নগরীতে যানজট

নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ দুই মাস সাধারণ ছুটি শেষে ব্যস্ততা বেড়েছে চট্টগ্রাম নগরীতে। জীবনযাত্রা সচল হওয়ার সাথে সাথে রাস্তায় গণপরিবহনসহ সব ধরনের যান চলাচল করাতে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে জনদুর্ভোগ বেড়েছে নগরীতে। সরকার থেকে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচলের কথা বলা হলেও চালক-যাত্রী কেউই মানছে না। মাস্ক, গ্লভস দেখা যাচ্ছেনা অনেকের মুখেই। আবার অনেক গণপরিবহনে যাত্রী ও চালকদের প্রকাশ্যে ধুমপান করতে দেখা গেছে।

রোববার সকালে নগরীর স্টেশন রোড গিয়ে দেখা যায়, গণপরিবহনে সাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। মাস্ক ছাড়া যাত্রীরা গণপরিবহনে উঠা-নামা করছে। কিছু কিছু গণপরিবহনে যাত্রী উঠানোর আগে জীবানু নাশক স্প্রে ব্যবহার করতে দেখা গেছে। একই সঙ্গে যাত্রেীদের থেকে তাহিয়ে নেয়া হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। যাত্রীদের অভিযোগ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কম যাত্রী পরিবহনের কথা বলে ভাড়া বাড়ানোর পর যাত্রী কম এমন যুক্তিতে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়েও দ্বিগুণ আদায় মানা যায় না।

জানা গেছে, ১ জুন থেকে গণপরিবহনে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়িয়ে সারাদেশের মত চট্টগ্রামে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালু করা হয়েছে। তবে যথাযথ নজরদারির অভাব, চালক, হেলপারের আইন না মানার প্রবণতার কারণে সড়কে সৃষ্টি হয়েছে ভাড়া নৈরাজ্য। কোন ধরণের স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চালক, হেলপারদের বিরুদ্ধে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।

যাত্রীদের অভিযোগ, সীমিত পরিসরে যানবাহনে সিটের অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের কথা থাকলেও অফিস টাইমে যাত্রী নিয়ে যানবাহন ভর্তি করে ফেলেছেন হেলপার। মানছেন না কোন স্বাস্থ্যবিধি। কিন্তু ভাড়ার আদায়ের বেলায় নির্ধারিত ভাড়ায় চেয়ে দ্বিগুণ আদায় করছে। যাত্রীদের অভিযোগ ভাড়ার বেলায় যাত্রী কম ও আইনের অযুহাত। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধির বেলায় কেন উল্টো। তাদের মতে, এমনিতে গণপরিবহন শ্রমিকদের আইনা না মানার প্রবণতা রয়েছে। তারওপর গণপরিবহনে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর ফলে সাধারণ যাত্রীরা শ্রমিকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।

করোনায় দীর্ঘ দুইমাস কর্মহীন মানুষের কাছে যেখানে বর্ধিত ভাড়া বোঝা সেখানে চালক, হেলপারের স্বেচ্ছাচারিতায় দ্বিগুণের চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করা অমানবিক। দ্রুত এই ভাড়া নৈরাজ্যের লাগাম টানা উচিত। তারা বলেন, প্রতিবাদ করলে যাত্রী কম তাই বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন এমন অযুহাত তোলেন অথবা গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন। বাড়তি ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সাথে হেলপাররা, চালকের প্রায় তর্ক জুড়ে দেন। অনেক সময় চালক-হেলপারের সাথে মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। তবে এসব অভিযোগ আমলে নিতে রাজি নয় চালক-হেলপার। চালক হেলপারদের মতে, কোন যাত্রীর কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হয়না। অফিস টাইম ছাড়া রাস্তায় তেমন মানুষ না থাকায় যাত্রী কম হয়। তাই অনেক ক্ষেত্রে ২-৩ টাকা এদিক সেদিক হতে পারে। তবে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর পর কেন বেশি ভাড়া নিতে হবে এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান চালক-হেলপার।

এই বিভাগের আরও খবর