chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ভাসছে ৫০ হাজার লিটার তেল

ক্ষতির মুখে মহেশখালের পরিবেশ ও প্রতিবেশ

তেলবাহী রেলের তিনটি ওয়াগন দূর্ঘটনার পর বুধবার রাত থেকে চট্টগ্রাম নগরের মহেশখালে ভাসছে তেল। আকস্মিকভাবে ৫০ টন জ্বালানি তেল নদীতে পড়ে যাওয়ায় জলজ প্রাণী এবং খালের পরিবেশ ও প্রতিবেশ মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে।

হালিশহর এলাকায় অবস্থিত রেলওয়ের গুডস পোর্ট ইয়ার্ডের (সিজিপিওয়াই) স্টেশন মাস্টার আবদুল মালেক বলেন, দূর্ঘটনা কবলিত তিনটি ওয়াগনের একটি থেকে ৩০ হাজার লিটার তেল পড়ে যায় ড্রেনে।
আরও একটি ওয়াগনের বেশিভাগ তেলও পড়ে যায়। ওই ওয়াগনে ছিল ৩০ হাজার লিটার তেল।

তিনি জানান, আনুমানিক ৪০-৫০ হাজার লিটার তেল ফুটো হয়ে ড্রেন দিয় পাশের খালে গিয়ে পড়েছ।

রেলওয়ে, পরিবেশ অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে, দুর্ঘটনার পর ট্যাংকার থেকে ৫০ হাজার লিটার তেল ড্রেনের মাধ্যমে মহেশ খালে পড়ে। তবে এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনাকবলিত ওয়াগন থেকে দুটি খালে ছড়িয়ে পড়া তেল সরিয়ে নেওয়া হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার মহেশ ও গুপ্ত খালের বিভিন্ন এলাকায় তেল ভাসতে দেখা যাচ্ছিল। আজ শুক্রবার সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় তেল ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।

সরেজমিনে গিয়ে হালিশহরের মহেষখালের বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, খালে তেল খালে ভাসছে। ভাটার সময় আবার নেমে যাচ্ছে। খালের তীরের দিকে কচুরিপানা এবং বিভিন্ন ভাসমান প্লাস্টিকসামগ্রী কালো আকার ধারণ করেছে।

এদিকে দুর্ঘটনার পর বৃহস্পতিবার পরিবেশ অধিদপ্তর মহানগরের সিনিয়র কেমিস্ট জান্নাতুল ফেরদৌসের নেতৃত্বে পরিদর্শক মোঃ মনির হোসেন, চট্টগ্রাম গবেষনাগারের গবেষনাগার সহকারী মোজ্জামেল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁরা খালে তেল ভাসতে দেখতে পায়।

জানতে চাইলে জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘পরিদর্শন শেষে একটি প্রতিবেদন পরিচালক স্যারকে দেব। এরপর তিনি ব্যবস্থা নেবেন। তেলগুলো পুরো খালে ছড়িয়ে পড়েছে।

চট্টগ্রামে পরিবেশ নিয়ে কাজ করেন আহমদ ইমতিয়াজ। তিনি চট্টলার খবরকে বলেন,গাঢ় বাদামি রংয়ের তেল বিভিন্ন স্থানে জমাটবদ্ধ হয়ে আছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদরা। এর ফলে জলজ প্রাণী এবং নদীর পরিবেশ ইতোমধ্যে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিবেশ ও প্রতিবেশ মারাত্মক ক্ষতি হবে।

এই বিভাগের আরও খবর