chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

মিতু হত্যা: বাবুলসহ সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ ৭ জনকে আসামি করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। সোমবার (১০ অক্টোবর) অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হালিমের আদালতে শুনানি শেষে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল ইসলাম অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালত পিবিআইয়ের করা অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন। তবে শুনাতিতে বাবুল আক্তার চার্জশিটের ওপর নারাজির আবেদন করেন। আদালত বাবুলের আবেদন খারিজ করে দেন।

এ মামলায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর নিজ স্ত্রীকে হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারসহ ৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিল পিবিআই। এর আগে গেল ৮ সেপ্টেম্বর রিমান্ডে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার সহ সংস্থাটির ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছিল বাবুল আক্তার। তবে গত ২৫ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার মামলার আবেদন খারিজ করে দেন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর ওআর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার  ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তিনি। জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে মামলায় অভিযোগ করেছিলেন বাবুল আক্তার। তবে দিন যত গড়িয়েছে মামলার গতিপথও পাল্টেছে। একপর্যায়ে সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে আসে স্বামী বাবুল আক্তারেরই নাম।

তদন্তে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত বছরের ১১ মে তাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গত ৯ জানুয়ারি বাবুলের করা মামলাতেই তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছিল পিবিআই। পরবর্তীতে আদালত কয়েক দফা শুনানি পিছিয়ে তার নিজের মামলাতেই বাবুলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন। পিবিআই তখন ২০১৬ সালের বাবুলের করা মামলায় তাকেই আসামি হিসেবে গণ্য করে।

এর আগে গত বছরের ১২ মে করা মিতুর বাবা বাবুলের শ্বশুরের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। পরবর্তীতে আদালত মিতুর বাবার মামলার সব তথ্য উপাত্ত বাবুলের করা আগের মামলায় একীভূত করে তদন্ত কাজ চালিয়ে নেওয়ার আদেশ দেন। এখন বাবুলের করা মামলার চূড়ান্ত অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে পিবিআই। মিতু হত্যা মামলায় স্বামী বাবুল আক্তার ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন—কামরুল ইসলাম মুছা, কালু, ওয়াসিম, শাহজাহান, আনোয়ার, এহতেসামুল হক ভোলা ও সাকি।  গত বছরের মে থেকে গ্রেপ্তারের পর কিছু দিন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হলেও ওই বছরের ২৯ মে থেকে ফেনী কারাগারে আছেন বাবুল আক্তার।

 

আরকে/নচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর