যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আরও ১ হাজার ৫৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে, এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের দেশে করোনায় ৯৩ হাজার ৫৩৩ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ হাজার ২৮৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৫ লাখ ৭০ হাজার ৫৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার হার অনেক কম। তারপরও সেখানে বেঁচে ফিরেছেন ৩ লাখ ৬১ হাজার ১৮০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন ১৭ হাজার ২৪৯ জন।
করোনার সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে নিউইয়র্কে। যেখানে প্রাণহানি ২৮ হাজার ৬৪৮ জন। আক্রান্ত ৩ লাখ ৬২ হাজার ৬৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। এরপরেই রয়েছে নিউ জার্সি। যেখানে ভাইরাসটি হানা দিয়েছে দেড় লাখের বেশি মানুষের দেহে। যাতে প্রাণ গেছে সাড়ে ১০ হাজারের বেশি মানুষের।
আবারও আক্রান্ত বেড়েছে ইলিনয়সে। যেখানে সংক্রমণ ছড়িয়েছে সাড়ে ৯৮ হাজারে। এর মধ্যে না ফেরার দেশে ৪ হাজার ৩৭৯ জন। একই অবস্থা ম্যাসাসুয়েটস অঙ্গরাজ্যের। প্রায় ৮৮ হাজার মানুষ সেখানে আক্রান্ত। এর মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৬ হাজার জনের।
এদিকে, চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন নিয়ে শিগগিরই বড় ঘোষণা আসছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। তবে, কি সেই ঘোষণা তা অবশ্য বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি। খবর রয়টার্সের।
ট্রাম্প বলেন, ‘চিকিৎসাবিদ্যা ও ভ্যাকসিনের বিষয়ে এটা অনেক বড় একটা দিন। বিশাল উন্নতি হয়েছে। এ নিয়ে অনেক বড় ঘোষণা আসছে। আর এই মাত্র জানা গেল, শেয়ারবাজারে প্রায় এক হাজার পয়েন্ট বেড়ে গেছে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট করোনার চিকিৎসায় দেশটির সংস্থা মর্ডানার আইএনসি’র ভ্যাকসিনের প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়। তাদের তৈরি ভ্যাকসিন শরীরের প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি তৈরি করতে অনেকটাই সফল হয়েছে। গত মার্চে ৪৫ স্বেচ্ছাসেবকের দেহে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হয়েছিল। তবে, এরা কেউই করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না। এদের মধ্যে ৮ জনের শরীরে করোনা মোকাবিলা করার মতো প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে বলে জানানো হয়।