জামিনে বেরিয়ে ফের মোটরসাইকেল চুরিতে মিল্টন বাহিনী
ডেস্ক নিউজঃ আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোরচক্রের মূলহোতা মিল্টন কুমার সাহা ও তার বাহিনীর পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২০ মে) নগরীর আকবরশাহ থানার সিডিএ , কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট ও চৌদ্দগ্রামে টানা দুইদিন অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ছয়টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ বলছে মোটরসাইকেল চুরিতে এদের রয়েছে অসীম সাহসিকতা ও দক্ষতা। রেঁকি করা মোটরসাইকেল চুরিতে কোন বাঁধা আসলে খুন করতেও দ্বিধাবোধ করে না এই চক্র। রয়েছে হত্যা মামলাও।
গ্রেফতার বাকি সদস্যরা হলেন- মেহেদী হাসান ওরফে হাসান, জালাল ওরফে শাহজালাল, ইসমাইল, মহিন উদ্দিন সুমন, মামুন আলম ওরফে মামুন আরাফাত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) অর্নব বড়ুয়া বলেন, মিল্টন এই চক্রের মূলহোতা। মাত্র চারমাস আগে সে জেল খেটে বের হয়ে আবার পুরনো পেশায় ফিরে গেছে। গ্রেফতার হলে সে বিভিন্ন ছদ্মনাম ব্যবহার করে। নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে বাইক চুরির পর বাইকগুলো কুমিল্লার লাঙলকোটে মেহেদী ও চৌদ্দগ্রামে মামুনের কাছে পাঠিয়ে দেয়। এছাড়া নাঙ্গলকোটে মেহেদী হাসানের রয়েছে নিজস্ব গ্যারেজ। চোরাই মোটরসাইকেল নিজ গ্যারেজে রেখে গাড়ি রং পরিবর্তন, তেলের ট্যাঙ্কি পরিবর্তন ও ইঞ্জিন নম্বর, চ্যাসিস নম্বর ঘষামাজা করে বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করে থাকে।
আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালি উদ্দিন আকবর চট্টলার খবরকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা আগের মামলার ব্যয় মেটাতে পুনরায় চুরি পেশায় ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছে। আসামিরা প্রত্যেকে পেশাদার চোর। এর মধ্যে মূল হোতা মিল্টনের বিরুদ্ধে সিএমপির বিভিন্ন থানায় ১৬টি, মামুন আলমের বিরুদ্ধে চুরি ও হত্যাসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে। উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেল গুলোর ইঞ্জিন নম্বর ও চ্যাসিস নং উদঘাটন করে মালিকানা যাচাই করা হচ্ছে।
এমএইচকে/চখ