চট্টগ্রামে সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
নিজস্ব প্রতিবেদক: তীব্র তাপদাহের পর বন্দরনগরীতে সকাল থেকেই ঝড়ছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। এর সঙ্গে বয়ে যাচ্ছে হিমেল বাতাস। গেল কয়েক দিনের গরমে এ বৃষ্টি যেন আর্শীবাদ হয়ে এসেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, সকাল নয়টা পর্যন্ত ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে। এই বৃষ্টিতে নগরীর অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল পানি জমে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে কর্মজীবী মানুষ ও গণপরিবহনকে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মৌসুমি আবহাওয়া বজায় থাকায় থেমে থেমে বিরতি দিয়ে বৃষ্টি দেখা মিলবে। তবে টানা বৃষ্টি ও ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা তেমন নেই।
জানতে চাইলে পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, এখন থেমে থেমে বৃষ্টি হবে। টানা দু এক ঘণ্টা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পর রোদেও দেখা মিলবে। আবার দুপুরে বৃষ্টি শুরু হয়ে বিকেলে থেমে যাবে। কখনও রাতেও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হবে। তবে টানা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
এক প্রশ্নে এই পূর্বাভাস কর্মকর্তা বলেন, বাতাসের আদ্রতার পরিমাণ বেশি হওয়ায় গরম অনুভূত হচ্ছে। টানা তিনে থকে চার দিন বৃষ্ট হলে আদ্রতার পরিমাণ কমে আসবে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে গরম কিছুটা কমবে।
এদিকে সকালে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে নগরীর মুরাদপুর, দু নম্বর গেইট, চকবাজার, কাতালগঞ্জ, বহদ্দারহাট, পবর্তক মোড়, আগ্রাবাদ, হালিশহরসহ নির্মাঞ্চলে হাঁটু পরিমাণ জমে যায়। সড়কে পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কমে আসে গণপরিবহনের সংখ্যা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মার্তবান উপসাগর ও তৎসংলগ্ন মিয়ানমারে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে প্রথমে সুষ্পষ্ট লঘুচাপ এবং পরবর্তীতে নিম্নাঞ্চল পরিণত হয়। এরপর এটি দূর্বল হয়ে সুষ্পষ্ট লঘুচাপ আকারে বর্তমানে থাইল্যান্ড ও তৎসংলগ্ন মিয়ানমার এলাকায় অবস্থান করছে। লঘুচাপে বর্ধিতাংশ বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের উত্তর-উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এর মধ্যে যশোর ও সাতক্ষীরা জেলা সমূহের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল যশোওে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছে ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রংপুরের ডিমলায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে ৬৫ ডিগ্রি মিলিমিটার।
আরকে/নচ/চখ