চেনা আঙিনায় তামিমের সেঞ্চুরি
ডেস্ক নিউজ: তামিম ইকবালের নিজ শহরের মাঠ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। কিন্তু এই মাঠের সঙ্গে তার সেঞ্চুরিভাগ্যটা খুব একটা ভালো নয়। প্রায় সাড়ে সাত বছর পর আবারও চেনা আঙিনায় তিন অঙ্কের দেখা পেলেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তামিম। ইনিংসের ৫১তম ওভারের আসিথা ফার্নান্দোর পায়ের ওপর করা ডেলিভারিতে আলতো ফ্লিক করে ১ রান নিয়ে মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি।
৫১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৬৯ রান। উদ্বোধনী জুটিতে ১৬২ রান যোগ করে মাহমুদুল হাসান জয় আউট হয়েছেন ৫৮ রান করে। তামিম খেলছেন ঠিক ১০০ রানে। তাকে সঙ্গ দিতে তিন নম্বরে নেমেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে ২২৮ রানে।
গতবছর শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে দুই ম্যাচের চার ইনিংসে তিনবার পঞ্চাশ পেরিয়েছিলেন তামিম। এর মধ্যে দুইবার আউট হন ৯০ ও ৯২ রান করে। এবার ঘরের মাঠে ফিরতি সিরিজে লঙ্কানদের পেয়ে আর ভুল করলেন না দেশসেরা ব্যাটার। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসেই তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি।
সোমবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলেই পূর্ণ আধিপত্যের আভাস দিয়েছিলেন তামিম। ইনিংসের একদম শুরুতে নো বলে ক্যাচ মিসের মাধ্যমে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর আর লঙ্কান বোলারদের কোন সুযোগ দেননি তিনি। আজ সকালের সেশনে মুখোমুখি ৭৩ বলে তুলে নেন ফিফটি।
এরপর খানিক খোলসবন্দী হয়ে যান তামিম। যে কারণে মধ্যাহ্ন বিরতির আগে মেলেনি সেঞ্চুরি, অপরাজিত থাকেন ৮৯ রানে। নিজের ইনিংসের ৮৫তম রানটি নেওয়ার সময় মুশফিকুর রহিমকে (৪৯৩২) টপকে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে যান তিনি।
বিরতির পর মুখোমুখি প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে নার্ভাস নাইন্টিজে পা রাখেন তিনি। আর দুই রান নিয়ে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হাজার রানের মালিক হন তিনি। সেখান থেকে দৃষ্টিনন্দন পুল শটে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পৌঁছে যান ৯৯ রানে। পরের বলেই ফ্লিক করে তুলে নেন সেঞ্চুরি।
সবমিলিয়ে ১৬২ বল খেলে ১২ চারের মারে ক্যারিয়ারের দশম, ঘরের মাঠে ষষ্ঠ, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম এবং জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে প্রথম সেঞ্চুরি করলেন তামিম। এই ইনিংসটিকে ১৫২ রান পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারলে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ৫ হাজার রানের মালিক হবেন তামিম।