পটিয়ায় প্রাচীন ভবনে ঝুঁকিপুর্ণ বসবাস!
নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসদরের ব্যস্ততম ও জনবহুল এলাকা সবুর রোড। ব্যবসায়ীদেরও প্রাণকেন্দ্র বলা হয় এ রোডকে। আর সেখানেই ঝুঁকিপুর্ণ ভাবেই ঠাঁই দাড়িয়ে আছে মো. আব্দুর সবুরের প্রাচীনতম বসতভবন ও মার্কেট।
১৯৬০ সালে নির্মিত এ ভবনটি এখন সবুর মার্কেট হিসেবেই পরিচিত। দ্বিতীয় তলায় আবদুর সবুরের ৬ ছেলে, ৪ মেয়ে এবং স্ত্রী তাদের পরিবারের পরিজন নিয়ে বসবাস করছে।
এছাড়া ভবনের নিচ তলা ও উপরের তলায় মিলে অন্তত অর্ধ শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুই শতাধিক কর্মচারী প্রতিনিয়ত মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।
এদিকে খোঁজ নিতে গিয়ে পৌরসভার কয়েকজন কাউন্সিলরের সাথে কথা বলে জানা গেছে ১৯৯০ সালে পটিয়া পৌরসভা প্রতিষ্টিত হলেও ভবন মালিক পটিয়া পৌরসভা থেকে প্রয়োজনীয় অনুমোদন নেয়নি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভবনের ছাদ বেয়ে পানি পড়ে,ঝং ধরেছে লোহায়। খসে পড়েছে ছাদের পোলেস্তারা। ভুমিকম্প হলে এ ভবন যেকোন মুহূর্তে ধসে পড়ে প্রাণহানির আশংকা রয়েছে।
সবুর মার্কেট ও আবদুর সবুর ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করার জন্য পটিয়া পৌরসভার মেয়র মো. আইয়ুব বাবুলের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সবুর মার্কেটের একাধিক দোকান কর্মচারী ও এলাকার সচেতন মহল।
একাধিক ব্যবসায়ীও দাবী করেছেন নকশাবহির্ভূত ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। অন্যদিকে পটিয়া পৌরসদরের ঝুঁকিপূর্ণ সব ভবনগুলোর বর্তমান পরিস্থিতির একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পটিয়া পৌর মেয়রের কাছে দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়ে কথা বলতে আব্দুর সবুরের ছেলে মো. মুছার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে আগামীকাল সোমবার প্রকৌশলী টিম পাঠিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানায় পটিয়া পৌরসভার মেয়র আইয়ুব বাবুল।
চখ/আর এস