chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

হাজার লিটার তেল মিলল মাটির নিচে-জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদের আগে থেকেই বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে সয়াবিন তেলের দামে। লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে দাম। কদিন আগে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচার অ্যাসোসিয়েশন তেলের দাম নির্ধারণ করেন।

বৃহস্পতিবার (৫ মে) বিকেলে সংগঠনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বোতলজাত পরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে বেড়েছে ৩৮ টাকা। আগে প্রতি লিটারে বোতল সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১৬০ টাকা। এখন তা কিনতে হবে ১৯৮ টাকায়।

আর বাজারে তেলের সংকট তৈরি করে বেশি মুনাফার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে অসাধু কিছু ব্যবসায়ি। পুরনো দামে ক্রয় করা ভোজ্যতেল নতুন নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করে বেশি মুনাফার আশায় নানারকম কৌশল অবলম্বন করছেন তারা।

তেমনি এক ব্যবসায়ি দোকানে ভোজ্যতেল মজুদের গোপন তথ্য পেয়ে নগরীর চৌমুহনীতে সিডিএ কর্ণফুলী মার্কেটে তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

আজ রবিবার (৮ মে) বিকেলে পরিচালিত এ অভিযানের নের্তৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান।

অভিযানে দোকানের মেঝের মাটির নিচ থেকে এক হাজার ৫০ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করতে সক্ষম হয় অধিদপ্তর টিম। অবৈধভাবে মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অপরাধে খাজা স্টোর নামে ওই দোকানের মালিককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঈদের আগে বাজারের কৃত্রিম সংকটকে কাজে লাগিয়ে অধিক মুনাফা আদায়ের উদ্দেশ্যে তেলের বোতলগুলো মজুদ করা হয়েছিল।

গোপন তথ্যে দোকানের মেঝের মাটির নিচে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা এসব তেল জব্দ করা হয়। এ সময় তেলগুলো তাৎক্ষণিক আশপাশের দোকানে বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পাশাপাশি তেল মজুত করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার আইন মোতাবেক প্রতিষ্ঠানটিকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

একই দিনে নগরীর বহদ্দারহাটে তেলের ডিলাররা কোন কারসাজি করছেন কি না, তা খতিয়ে দেখেতে অভিযান পরিচালনা করেন অধিদপ্তর। তবে সেখানে তারা কোনো অনিয়ম পায়নি।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর