পানিতে ডুবে দুই ভাই-বোনসহ চার জনের মৃত্যু
জেলা-উপজেলা ডেস্ক: নোয়াখালীতে পৃথক উপজেলার পৃথক স্থানে পুকুরের পানিতে ডুবে জমজ দুই ভাই-বোনসহ চার জনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার সেনবাগ ও চাটখিল উপজেলার পৃথকস্থানের পুকুর থেকে নিহতদের মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। নিহতদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
নিহতরা হলেন- সেনবাগ পৌরসভার বিন্নাগুনি গ্রামের অলি কোম্পানীর বাড়ির মোস্তফার ছেলে আলিফ (২) ও মাহির আক্তার (২), ডমুরুয়া ইউনিয়নের জিরুয়া পাটোয়ারী বাড়ির কুয়েত প্রবাসী মহিন উদ্দিনের মেয়ে স্কুল ছাত্রী মাইশা আক্তার (১০) এবং চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মৃত নুরুল ইসলাম পাটেয়ারীর ছেলে মো. স্বপন (৫০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে সেনবাগ পৌরসভার বিন্নাগুনি গ্রামের অলি কোম্পানীর বাড়ির মোস্তফার দুই জমজ ছেলে-মেয়ে পুকুর পাড়ে খেলা করছিলেন।
দুপুরের কোনো এক সময় পরিবারের লোকজনের অজান্তে পুকুরে পড়ে ডুবে যায়। দীর্ঘসময় তাদের দেখতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোজাখুঁজি করে।
এক পর্যায়ে তাদেরকে পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখে দ্রুত উদ্ধার করে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে বিকেলে সেনবাগের ডমুরুয়া ইউনিয়নের জিরুয়া পাটোয়ারী বাড়ির কুয়েত প্রবাসী মহিন উদ্দিনের দশ বছরের মেয়ে জিরুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী মাইশা আক্তার বাড়ির শিশুদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে ঘরের পাশের পুকুরে পড়ে ডুবে যায়।
এসময় অন্য শিশুদের চিৎকারে বাড়ি লোকজন এসে পুকুরের পানিতে তল্লাশি চালিয়ে সন্ধ্যায় তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাইশাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী।
অপরদিকে, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের জনতা বাজার এলাকায় একটি পুকুরে গোসল করতে যান মাঝ বয়সী স্বপন।
পানিতে নামার একটু পরই ডুবে যান তিনি। পরে উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে গেলে স্থানীয় এক চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চখ/আর এস