নিজস্ব প্রতিবেদক:ক্ষমতায় আসলে শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় করা হবে মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় শ্রমিকদের অধিকার আন্দোলনের সময় গুলি করে হত্যা করেছে। সার ও কৃষি উপকরণের জন্য আন্দোলনের সময় গুলি করে কৃষকদদের হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (১ মে) দুপুরে তথ্যমন্ত্রীর চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর পাড় সংলগ্ন বাসভবনে সাংবাদিকদের মতবিনিময়ের সময় তিনি তিনি এ কথা বলেন।
ডা. হাছান মাহমুদ বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার আগে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ছিল ১ হাজার ৬৫০ টাকা। বর্তমানে এই মজুরি ৮ হাজার টাকায় উন্নীত হয়েছে। পাটকল শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরি ৯৬০ টাকা থেকে ৮ হাজার ৩০০ টাকা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে বিভিন্ন সেক্টরে শ্রমিকদের মজুরি ৬ থেকে ৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে শ্রমিকদের চিকিৎসা, যাতায়াত, বাড়িভাড়া, গার্মেন্টস শ্রমিকদের দুপুরের টিফিনের ব্যবস্থা করাসহ বিভিন্ন ভাতা সরকার নিশ্চিত করেছে।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্মসাধারণ বলেন, ১০ টাকা কেজিতে চাল, বিনামূল্যে চালসহ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের কোটি কোটি মানুষকে নানাভাবে সহায়তা দেয়া হয়েছে এসব উদ্যোগ আগে কখনো ছিল না। করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যখন সমস্ত পৃথিবীতে জীবনযাত্রায় নাভিশ্বাস উঠেছে। ভোজ্য তেলের দাম ইউরোপে ৫০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্য পণ্যের দাম ইউরোপে ৪০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউক্রেনে খাদ্যপণ্যের দাম ২৫ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে সুপার মার্কেটে নানা ধরণের খাদ্যপণ্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আমাদের দেশে তেমন হয়নি। অনেকে বক্তৃতা করেন, কিন্তু বিশ্ব প্রেক্ষাপটের দিকে তাকান না। এতো বিশ্বব সঙ্কটের মধ্যেও আমাদের দেশে জীবনযাত্রা নির্বিঘ্ন আছে। শ্রীলঙ্কা, ভারত ও পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে দেখুন। পাকিস্তানের শহরাঞ্চলে ছয় ঘণ্টা লোডশেডিং, গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং। সেইক্ষেত্রে আমাদের দেশ কোথায় আছে। এটি প্রধানমন্ত্রীর নানাবিদ পদক্ষেপের কারণে সম্ভব হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে আসার জন্য জিয়াউর রহমান সহযোগিতা করেছিলেন বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানান আওয়ামী লীগের এই যুগ্মসাধারণ সম্পাদক।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আসলে মিথ্যাচার করতে করতে ওরা সব বিষয়ে মিথ্যাচার করে। তারা যে ইতিহাস বিকৃতি করে সেটার আরেকটি প্রমাণ হচ্ছে এটি। বঙ্গবন্ধু কন্যা যখন দেশে আসেন তখন বিমানবন্দরে যাতে লোকসমাগম না হয় সেজন্যও নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। দেশে আসার পর তিনি ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে একটি মিলাদ পড়াতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান সেই মিলাদ পড়ানোর অনুমতি দেয় নাই। পরে ৩২ নম্বরের বাড়ির সামনের রাস্তায় শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে শহীদদের মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ পড়াতে হয়েছে। এই হচ্ছে জিয়াউর রহমান এবং বিএনপি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদার, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
আরকে/নচ/চখ