চট্টলা ডেস্ক : চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও হালদা নদীসহ দেশের ৫৪টি নদীকে দূষণমুক্ত করতে একটি সময়ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে।
আজ সোমবার (১৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এ নোটিশ প্রেরণ করেছে। নোটিশে নদীগুলোকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন ঘোষণা ও সেই অনুযায়ী রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার দাবি জানানো হয়।
তারা যেসব সংস্থা ও ব্যক্তির কাছে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন, শিল্প, নৌ পরিবহন, ভূমি, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ, পানি সম্পদ, কৃষি, অর্থ, জনপ্রশাসন ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান।
দেশের যে ৫৪টি নদীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের রয়েছে চারটি। এগুলো হলো কর্ণফুলী, হালদা, বিল ডাকাতিয়া ও তিতাস।
ঢাকা বিভাগের ১৯টি নদী দূষণমুক্ত করার দাবি করা হয়েছে বেলা প্রেরিত নোটিশে। এগুলো হলো-বুড়িগঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ, ধলেশ্বরী, মেঘনা, বালু, আড়িয়াল খাঁ, ময়নাকাটা, বিলপদ্ম, কীর্তিনাশা, সুতি, পারুলি, চিলাই, কালিগঙ্গা, পদ্মা, বানার, লৌহজং ও বংশী।
তাছাড়া রাজশাহী বিভাগের ৬টি নদী রয়েছে তালিকায়। নদীগুলো হলো- যমুনা, করতোয়া, গঙ্গা, আত্রাই, নারোদ, ইছামতি। একইভাবে রংপুরের বিভাগের- তিস্তা ও খড়খড়িয়া। ময়মনসিংহ বিভাগের- ক্ষীরু। খুলনা বিভাগের- ময়ূর, ভৈরব, রুপসা, মাথাভাঙ্গা, পশুর, কাকশিয়ালী, গড়াই, মধুমতি, কুমার।
এছাড়া, বরিশাল বিভাগের নদীগুলো হলো- কীর্তনখোলা, সুগন্ধা, লোহালিয়া, তেঁতুলিয়া, খাকদোনা, শিববাড়ীয়া। সিলেট বিভাগের নদীগুলো- সুরমা, কুশিয়ারা, সুতাং, সোনাই, কোরাঙ্গী, বরাক, ধোলাই।
নোটিশে বেলার দাবি, নদীসমূহের দূষণের উৎস চিহ্নিতকরণ ও দূষণকারীর পূর্ণ তালিকা প্রস্তুত এবং দূষণ প্রতিরোধ করতে হবে। দূষণকারীকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি দেওয়া ও ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে। অতি দূষিত ও প্রাণহীন নদীগুলোকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন ঘোষণা ও সেই অনুযায়ী রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।
চখ/আর এস