chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে ভূমিহীনরা খুশি

চট্টলা ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারগুলো সুন্দরভাবে বাঁচার সাহস পাবে, স্বপ্ন দেখতে শিখবে। তারা অত্যান্ত খুশি।

শনিবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে আনোয়ারায় বৈরাগ আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন শেষে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের গুয়াপঞ্চক মৌজার বৈরাগ আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন তিনি। ২৬ পরিবারকে পৌঁছে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা উপহার।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আশ্রয়ণ প্রকল্পের স্বপ্ন বুনেছিলেন ১৯৭২ সালে। এ ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে এ প্রকল্পের কাজ শুরু করেন।

তিনি তাঁর মেধা, শ্রম ও দক্ষতাকে ব্যবহার করে আমাদেরকে সাথে নিয়ে জনগণের কল্যাণে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। সর্বোপরি বিশ্বের ইতিহাসে নতুন একটি ইতিহাস রচনা করে চলেছেন।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘মুজিববর্ষে দেশে কেউ ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না’ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্বের ইতিহাসে বাংলাদেশ একটি ইতিহাস করতে যাচ্ছে।

আর আমাদের সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও একতার মাধ্যমে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প সফলভাবে শেষ করার মধ্য দিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সক্ষম হবো।

আমাদের মৌলিক চাহিদার মধ্যে খাদ্য, বস্ত্রের সাথে বাসস্থান নিশ্চিত করতে পারলেই দেশের একজন সাধারণ নাগরিকের সকল মৌলিক চাহিদা পূর্ণতা পাবে।

এ সময় ২৬টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা উপহার দেওয়া হয়। প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি চিনি, ২ কেজি ছোলা, ২ লিটার তেল, ১ প্যাকেট সেমাই দেওয়া হয়।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আশ্রাফ উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার(রাজস্ব) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুল আহসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল.এ) মাসুদ কামাল, বৈরাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নোয়াব আলী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ মান্নান প্রমুখ।

বৈরাগ আশ্রয়ণ প্রকল্পে তিনটি পর্যায়ে মোট ৩৬টি পরিবারকে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রথম পর্যায়ের ১৫ ও দ্বিতীয় ‍পর্যায়ে ১১টিসহ মোট ২৬টি ঘর নির্মিত হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে ১০টি ঘর নির্মাণ পর্যায়ে আছে।

চখ/এমএইচকে/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর