chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যারা ডিফল্ডার না

জাতীয় ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যারা ডিফল্ডার না। আমরা যেখান থেকে যত ঋণ নিয়েছি, প্রতিটি ঋণ সময় মতো পরিশোধ করে দিয়েছি।

সোমবার (১১ এপ্রিল) নিজ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এই বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শক্তিশালী বিরোধীদল না পাওয়ার আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেছেন, আমাদের অপজিশন যারা আছে তারা (বিএনপি ও জাতীয় পার্টি) মিলিটারি ডিক্টেটর— একেবারে সংবিধান লঙ্ঘন করে, আর্মি রুলস ভঙ্গ করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল।

তিনি বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করা বিএনপি ও জাতীয় পার্টির মাটি ও মানুষের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। তাদের কাছে ক্ষমতাটা ছিল একটা ভোগের জায়গা। সেই ক্ষেত্রে আসলে অপজিশন তাহলে কোথায়? এখানে একটা পলিটিক্যাল সমস্যা কিন্তু আছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ চালানোর ক্ষেত্রে আমরা তেমন কোনও শক্তিশালী বিরোধী দল পাচ্ছি না। তাদের অবস্থানটা মানুষের কাছে নেই। কারণ তারা তো এসেছেই একটা ভাসমান অবস্থায়।

কাজেই তাদের ওই শিকড় তারা গড়তে পারেনি। সেই ক্ষেত্রে আমাদের ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ড থেকে যখন শোনায় যে এখানে ডেমোক্রেসি, পার্টিসিপেটরি ডেমোক্রেসি, ইলেকশন, হেনতেন; কিন্তু আসলে এখানে করবেটা কি। সেটাও তারা চিন্তা করে না।

তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের কথা বলতে গেলে অনেক দল দরকার। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, উন্নত বিশ্বে দেখলে আপনারা দেখবেন— সেখানে কিন্তু মাত্র দুই দল হয়ে গেছে এখন।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দুই দলের বেশি শক্তিশালী দল নাই। আবার আমি তো জানি আমেরিকার প্রায় ২৫ শতাংশ সংগঠন ইলেকশনই করে না।

ইলেকশন করার বিষয়ে একটা অনীহা চলে আসে মানুষের। এটাও কিন্তু অনেক দেশে দেখা যাচ্ছে। আমাদের দেশটা ধীরে ধীরে ওরকম হয়ে যাচ্ছে।

বিএনপি-জামায়াত শাসনামলের কথা উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, পেছনে থেকে তাদের উৎসাহ দিয়ে একবার ক্ষমতায় আনতে পারে, যেটা ২০০১ সালে এনেছিল। কিন্তু তার পরিণতি কি ছিল?

বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন, বাংলা ভাই সৃষ্টি, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি, ৫০০ জায়গায় একদিনে বোমা হামলা, আমি অপজিশনে আমাদের ওপর গ্রেনেড হামলা, অপজিশনের অনেক নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা।

ধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, রাষ্ট্রদূত-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমম্বয়ক জুয়েনা আজিজ এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সঞ্চালনায় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিগত তিন বছরের কাজের ওপর একটি বিবরণ উপস্থাপন করেন।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর