chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

দাম বাড়েনি এমন পণ্যের তালিকা খুঁজে পাওয়া কঠিন-ক্যাব

চট্টলা ডেস্ক : করোনা পরবর্তী সময় থেকে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপণ্যের বাজারে কারসাজি করে বাজারে আগুন ধরাচ্ছেন। যার কারনে চালের দাম দীর্ঘ দুই বছর ধরেই অস্থির।

এ সুযোগে ব্যবসায়ীরা একবার আলু, একবার পেয়াঁজ, একবার ডাল, আটা-ময়দা এভাবে প্রতিটি পণ্যের বাজারে অস্থিরতা তৈরী করছেন। সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থার লোকজন অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি বন্ধের পরিবর্তে এসমস্ত অসাধু ব্যবসায়ীদের কর্মকান্ডকে বৈধতা প্রদানে সাধারন মানুষের ওপর নানা অভিযোগ তুলছেন।

অধিকন্তু কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীদের সুবিধা প্রদানের জন্য তাদেরকে মন্ত্রী, এমপি, রাজনৈতিক দলের নেতাসহ দুদকের দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসহ নানা পদে আসীন করছেন। এমনকি তারা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বৈদশিক সফরসঙ্গী করার জন্য প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হন।

ফলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারছে না। এ অবস্থায় পুরো দেশটি যেন দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা হাটে পরিনত হয়েছে। রমজানকে সামনে রেখে দাম বাড়েনি এমন পণ্যের তালিকা খুঁজে পাওয়া কঠিন।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে এসব তথ্য জানান দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষনকারী জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগ ও মহানগর কমিটির নের্তৃবৃন্দরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অসাধু ও মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে অস্তির চট্টগ্রামের বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার। তথ্য নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে অভিযান পরিচালনার উদ্দ্যেগ নেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

তবে অভিযানে গেলেই দোকান-পাট বন্ধ করে পালিয়ে যান বেশিরভাগ ব্যবসায়ী। গত বুধবার দেশের বৃহৎ পাইকারী বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ভোজ্যতেলের ডিও ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে বড় মার্কেট ‘সোনা মিয়া মার্কেটে’ এ ঘটনা ঘটে।

অভিযান পরিচালনাকালে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ করে চলে যাবার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাজার তদারকিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্ঠি ও আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের জন্য দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষনকারী এ সংস্থাটি।

বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, ও সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ উপরোক্ত দাবি জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বড় বড় আমদানিকারক ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে প্রতিনিয়ত তাদের প্রতিষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার, জেলা প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনকে অভিযান পরিচালনা না করার জন্য প্রছন্ন হুমকি প্রদান করে যাচ্ছেন।

আবার কোন সময় অভিযান পরিচালনা করা হলে দোকান-পাট বন্ধ করে পালিয়ে যান। তারা যদি কোন অপরাধে বা কারসাজিতে জড়িত না হন তাহলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পালানোর দরকার কী?

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ভোক্তা সংরক্ষন আইন ২০০৯ অনুযায়ী সব দোকানে মূল্য তালিকা দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করার কথা থাকলেও অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে মূল্য তালিকা প্রদর্শন করছেন না।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাজার থেকে চলে গেলেই মূল্য তালিকা উদাও হচ্ছে। প্রতিবার বাজার অভিযান ও ভ্রাম্যমান আদালতের সময় এ জন্য জরিমানা করা হলেও দৃশ্যত কোন উন্নয়ন হচ্ছে না। এ অবস্থায় গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ীদেরকে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে বর্জনের আহবান জানান।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর