শেষ দুই জুটির কল্যাণে দক্ষিণ আফ্রিকার ৩৬৭
ডেস্ক নিউজঃ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো প্রথম দিনের খেলা শেষে বলেছিলেন, প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংস ৩২০ এর মাঝেই থামিয়ে দিতে চায় বাংলাদেশ। আজ দ্বিতীয় দিনে সেই লক্ষ্যের কাছাকাছি গেলেও প্রোটিয়া টেইল অ্যান্ডাররা রুখে দাঁড়ান। যে কারণে ২৯৮ রানে ৮ উইকেট পতনের পর প্রোটিয়াদের স্কোর গেছে ৩৬৭ পর্যন্ত! শেষের দিকে দারুণ লড়াই করেছেন সিমন হারমার। বাংলাদেশের হয়ে খালেদ আহমেদ নিয়েছেন ৪ উইকেট, মেহেদি মিরাজ ৩টি।
৪ উইকেটে ২৩৩ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। টেম্বা বাভুমা ৫৩* আর কাইল ভেরাইনা ২৭* রানে অপরাজিত ছিলেন। আজ দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই জোড়া আঘাত হানেন পেসার খালেদ আহমেদ। কাইল ভেরেইনাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে টেম্বা বাভুমার সঙ্গে ৬৫ রানের জুটি ভাঙেন। ৮১ বলে ২৮ রান করা ভেরেইনা রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। পরের বলে নতুন ব্যাটার ভিয়ানমুল্ডারের (০) তুলে দেওয়া ক্যাচ স্লিপে দুর্দান্তভাবে তালুবন্দি করেন মাহমুদুল হাসান। হ্যাটট্রিকের সুযোগ পেলেও তৃতীয় বলটি ভালো হয়নি খালেদের। নতুন ব্যাটসম্যান কেশব মহারাজ সেটি ছেড়ে দেন।
সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্ত থেকে টেম্বা বাভুমাকে ফেরান মেহেদি মিরাজ। এই তরুণ স্পিনারের বলে বোল্ড হয়ে শেষ হয়ে বাভুমার ১৯০ বলে ১২ চারে ৯৩ রানের ইনিংস। ৪০ বলে ১৯ রান করা কেশব মহারাজকে এবাদত হোসেন বোল্ড করলে ২৯৮ রানে ৮ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। দুই লোয়ার অর্ডার সিমন হারমার এবং লিজাড উইলিয়ামস দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করছিলেন। উইলিয়ামসকে (১২)ফিরিয়ে নিজের চতুর্থ শিকার ধরেন খালেদ। আরও একটি দুর্দান্ত ক্যাচ নেন মাহমুদুল।
শেষ উইকেটেও দারুণ লড়াই করছিলেন প্রোটিয়ারা। অবশেষে মেহেদি মিরাজের বলে অলিভার (১২) এলবিডাব্লিউ হলে প্রোটিয়ারা ৩৬৭ রানে অল-আউট হয়। সিমন হারমার অপরাজিত থাকেন ৭৩ বলে ৩৮* রানে। খালেদ আহমেদ ২৫ ওভারে ৯২ রান দিয়ে ৪টি আর মিরাজ ৪০ ওভারে ৯৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ৮৬ রানে ২টি নিয়েছেন এবাদত। তবে ২৩ ওভারে ৬৯ রান দিলেও তাসকিন উইকেটশূ ন্য।