আনোয়ারায় পরাজিত প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণার অভিযোগ!
পুনঃতদন্ত করছে নির্বাচন কমিশন-সাংবাদিকদের সহায়তা কামনা
চট্টলা ডেস্ক : চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ইউপি নির্বাচনে উপজেলার ২নং বারশত ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে ভোটের ফলাফল কারচুপির মাধ্যমে পরাজিত প্রার্থী মোহাম্মদ ইসমাইল’কে ৪২৬ ভোটে বিজয়ী ঘোষণার অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী জসিম উদ্দিন আহমদ ও হারুনুর রশিদ।
সংবাদ সম্মেলনে ওই কেন্দ্রের গ্রহণকৃত ভোট পুণঃ গণনা ও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান তারা। লিখিত বক্তব্যে তারা দাবি করেন, নির্বাচন চলাকালীন সময়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও ভোট গণনা কালীন সময়ে ৮নং ওয়ার্ডের নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রার্থীর এজেন্ট’কে প্রিজাইডিং অফিসার সুমন কল্যাণ চৌধুরী মারধর করে বের করে দেন।
তাছাড়া ভোট গণনায় ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি ও কারচুপির মাধ্যমে ভোটে পরাজিত মেম্বার প্রাথী মোহাম্মদ ইসমাইল- এর টিউবল প্রতীকে ৪২৬ ভোট প্রাপ্তি দেখিয়ে কেন্দ্রে মেম্বার পদে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
তারা অভিযোগ করে বলেন, ব্যালট পেপার গণনাকালীন সময়ে তাদের নির্বাচনী এজেন্ট মহিউদ্দিন আহমেদ ও তারেক ইসলাম’কে ভোট গণনা কক্ষ থেকে মারধর করে বের করে দেন প্রিজাইডিং অফিসার সুমন কল্যাণ চৌধুরী।
এ ঘটনার পর আমরা দুজন মেম্বার প্রার্থী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহি অফিসার, আনোয়ারা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। তবে অজ্ঞাত কারণে এর কোনো প্রতিকার পাইনি।
পরবর্তীতে গত ৬ মার্চ এ বিষটি জেলা নির্বাচন অফিসার ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করা হয় এবং পরদিন ৭ মার্চ ঢাকা সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরেও লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন প্রতিদ্বন্দী দুই প্রার্থী।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার (২৩ মার্চ) ঘটনার তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে কমিশন। যা আমরা নোটিশের মাধ্যমে জানানো হয়। ঘটনাটি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষভাবে তদন্তের মাধ্যমে ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগে প্রকৃত বিজয়ী প্রার্থী নির্বাচনে সাংবাদিকদের সহায়তা চেয়েছেন জসিম উদ্দিন আহমেদ ও হারুনুর রশিদ।
চখ/আর এস