chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

দ. আফ্রিকার কাছে ৭ উইকেটে হারল বাংলাদেশ

খেলাধুলা ডেস্ক : জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের দেওয়া ১৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটের বড় জয় পেল দ. আফ্রিকা। ৩৭.২ ওভারে ৭৬ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের সহজ জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা ফেরালো স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা।

আজ রোববার (২০ মার্চ) প্রথম ইনিংসে শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। গোলাপি জার্সিতে দ. আফ্রিকানরা যে ভয়ংকর তা কে না জানে! ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামেও তার প্রমাণ দিলেন তারা।

বোলিং-ব্যাটিংয়ে কোনো জায়গায় প্রোটিয়াদের সঙ্গে লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ। আর সিরিজ বাঁচাতে একাদশে তিন পরিবর্তনের সুবিধাও পেল স্বাগতিকেরা।

১৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুটা দুর্দান্ত হয় দক্ষিণ আফ্রিকার। দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও জানেমান মালান মিলেই তুলে ফেলেন ৮৬ রান। ২৬ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৮তম ফিফটির দেখা পান ডি কক। তবে অপরপ্রান্তের ব্যাটার জানেমান মালান বেশিদূর যেতে পারেননি।

বোলিংয়ে প্রচুর রান খরচ করা মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন স্বাগতিক দলের ডানহাতি ওপেনার (২৬)। মিরাজের আঘাতের পর প্রোটিয়াদের রানের গতি কিছুটা শ্লথ হয়ে আসে। তবে এক প্রান্তে তখনও আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছিলেন ডি কক।

প্রোটিয়া বাঁহাতি ওপেনারকে নিজের দ্বিতীয় ওভারেই ফেরান সাকিব। বাঁহাতি স্পিনারের বলে স্লগ-সুইপ শট খেললেও ডিপ মিড উইকেটে আফিফ হোসেনের দারুণ এক ক্যাচে পরিণত হন ডি কক। ৪১ বল স্থায়ী তার ৬২ রানের ইনিংসটি ৯টি চার ও ২টি ছক্কা সাজানো।

বাংলাদেশের সাফল্য বলতে ওই পর্যন্তই। কারণ এরপর কাইল ভেরেইনে ও টেম্বা বাভুমার ৮২ রানের দারুণ এক জুটিতে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।

বাভুমা অবশ্য ৩৭ রান করে আফিফের বলে শরিফুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। কিন্তু কাইল ভেরেইনে আফিফের বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে নিজের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন। শেষ পর্যন্ত দলের জয় নিশ্চিতের সময় ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

এর আগে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভালো সংগ্রহ পায়নি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে কেবল একাই লড়লেন আফিফ হোসেন। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে যখন টাইগাররা ধুঁকছে তখনই দলের হাল ধরেন ২২ বছর বয়সী ব্যাটার।

মাহমুদউল্লাহকে (২৫) নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ৬০ রানের জুটিতে সেই বিপর্যয় কিছুটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন আফিফ।

এরপর মেহেদি হাসান মিরাজের (৩৮) সঙ্গে আফিফের ১১২ বলে ৮৬ রানের জুটি। দ. আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের সপ্তম উইকেটে যা সর্বোচ্চও। আগের রেকর্ডটি ছিল ২০০৭ বিশ্বকাপে, আশরাফুল-মাশরাফির। দুজনে ৫.১ ওভারে গড়ছিলেন ৫৪ রানের জুটি।

কিন্তু কাউন্টার-অ্যাটাকে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় ফিফটি পাওয়ার পর দলীয় ১৮০ রানে কাগিসো রাবাদাকে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দেন আফিফ। থামে তার ১০৭ বলে ৯ চারে ৭২ রানের ইনিংস।

স্কোরবোর্ডে আর এক রান জমা পড়তেই রাবাদার পঞ্চম শিকার মিরাজ। এ নিয়ে ওয়ানডেতে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইফার পেলেন প্রোটিয়া পেসার।

বাংলাদেশের কৃতিত্বের ব্যাপার হলো শুরুর ধাক্কা সামলে এই ম্যাচে পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করা। ৯ উইকেটে ১৯৪ রানের লড়াকু পুঁজি পায় টাইগাররা। স্বাগতিকদের হয়ে একাই ৫ উইকেট শিকার করেন রাবাদা।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর