chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চাক্তাই-রাজাখালি খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ

চট্টলা ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর রাজাখালি খালের জায়গায় ৬১ এবং চাক্তাই খাল এলাকার ৬৫টিসহ মোট ১২৬ অবৈধ দখলদারকে ৯০ দিনের মধ্যে উচ্ছেদে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ বুধবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী এবং বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তাঁকে সহায়তা করেন আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঞা, রিপন বাড়ৈ ও সঞ্চয় মণ্ডল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরের চাক্তাই খাল ও রাজাখালী খালের প্রকৃত সীমানা চিহ্নিত করে খালের জায়গা থেকে ১২৬ দখলদারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং নির্মাণ কাজ বন্ধে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমরা হাইকোর্টে রিট করি।

২০১৬ সালের ৬ জুন হাইকোর্ট রুল জারি করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পরে জেলা প্রশাসন প্রতিবেদন দাখিল করে জানান-বাকলিয়া এবং পাঁচলাইশ মৌজায় ১২৬টি অবৈধ দখল রয়েছে। এরমধ্যে রাজাখালি এলাকায় ৬১ এবং চাকতাই এলাকায় ৬৫টি।

বুধবার এ রুলের ওপর রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে ৯০ দিনের মধ্যে চট্টগ্রামের দুটি খালের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে উচ্ছেদের আগে দখলকারীদের নিজ খরচে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে প্রশাসনকে দুই সপ্তাহ সময় দিতে বলেছেন আদালত।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫, জলাধার সংরক্ষণ আইন ২০০০ অনুসারে খাল ভরাট নিষিদ্ধ। কিন্তু চট্টগ্রাম নগরের প্রশাসনের শত শত ব্যক্তিদের চোখের সামনে খালের জায়গা দখল করে পানির প্রবাহ বন্ধ করা হয়েছে।

এতে চট্টগ্রামে লাখ লাখ মানুষ জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছেন। জরিপ অনুযায়ী, খালের দখলদারদের উচ্ছেদে আদালতের নির্দেশনা চান তিনি।

এ মামলায় বিবাদীরা হলেন পরিবেশ, অর্থ, এলজিআরডি ও পানি সম্পদ সচিব; চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সচিব, সিডিএ চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজি, জেলা প্রশাসক, এডিসি, চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার, বাকলিয়ার এসিল্যান্ড এবং ওসি। সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম এ হান্নান।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর