chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বসন্তের বন্দনায় সুরভিত আইইআর

চট্টলার ডেস্ক:কবিতা আবৃত্তি, নজরুল গীতি, রবীন্দ্র সংগীত, মূকাভিনয় ও পিঠা উৎসবের মধ্যে দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটে (আইইআর) উদযাপিত হয়েছে বসন্ত বরণ উৎসব।

(রোববার) বেলা ১১ টায় ইন্সটিটিউটের পরিচালক ড. গোলাম মহিউদ্দিন অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন। এসময় ইন্সটিটিউটের শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক আমির উদ্দিন, ড. উদিতি দাশ, সহকারী অধ্যাপক মো.জাকির হোসেন, সৌমেন কিশোর নাথ, কাজল বরণ নাথ, ইফতেখার আরিফ,ড. ফাওজীয়া ফালেহা সাদিদা, নাসিমা পারভীন, প্রভাষক মার্জিয়া খাতুন স্মিতা, সুস্মিতা দত্ত ও জেরিন আক্তার উপস্থিত ছিলেন।

‘লাগলো হাওয়া এই মনে, যাই বসন্ত পার্বণে’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাজানো হয় অনুষ্ঠানমালার।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই চিরায়ত বাঙালিয়ানা আমেজে ইন্সটিটিউটের শিক্ষকদের রিকশায় করে তুমুল করতালি জানান শিক্ষার্থীরা। এরপর ফাল্গুনী গান, ক্লাসিকাল, উপজাতিয় নাচের তালে মঞ্চ মাতান ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

এছাড়াও ছিলো কবিতা আবৃত্তি, নজরুল গীতি, রবীন্দ্র সংগীত,মূকাভিনয়। উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিলো বিভিন্ন পিঠার স্টলের। স্টলে আলপলনি, উৎসবের রঙ্গে, পিঠার সঙ্গে, তৃনিশ, পিঠার খোঁজে নবোত্তমে ইত্যাদি বাহারি পিঠা নিয়ে মেলায় হাজির জন।

পিঠার মধ্যে ডিম সুন্দরী, চিকেন পুরি,পোয়া, সুজি রসবড়া, ব্যাঙ পিঠা, পাটিসাপটা, পোয়া, মুগপাকন,খেজুরের গুড়ের পাটিসাপটা, কাবাব, নারিকেলের নাড়ু, মাংশপুলি, কাঁঠাল খিলি পিঠা, শাহী মালাই, ফুলঝুরি,ডালপাকন,পাকুড়া, চকোলেট পুডিং ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

অনুষ্ঠান শিক্ষকদের বালিশা খেলা ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। ইন্সটিটিউটের পরিচালকসহ সকল শিক্ষক এই খেলায় অংশগ্রহণ করে। তাছাড়া উৎসবে ছিলো চিত্র প্রদর্শনী। ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীদের হাতে তোলা অসংখ্য জীবন্ত চিত্র এখানে প্রদর্শিত হয়। উৎসবে আগত দর্শকদের জন্য ছিলো মার্বেল খেলা।

উৎসবে আগত দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী জাফর আহসান জানান, খুব বেশি উপভোগ করছি। উৎসব আয়োজনের দিক থেকে সব সময়ই এই ইন্সটিটিউট ব্যতিক্রম। চিরায়ত বসন্ত উৎসবের বাইরে তাদের আয়োজন দর্শকদের আকৃষ্ট করছে। অনেকগুলো পিঠা খেয়েছি। পাশাপাশি ফটো গ্যালারিতে ছবি তুলে আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছি।

জীববিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী রাইমা তাবাসসুম জানান,”সাংস্কৃতিক আয়োজনগুলো খুবই চমৎকার লাগছে। বিশেষ করে উপজাতিয় নাচগুলো উপভোগ করেছি। এখানকার শিক্ষার্থীদের আতিথিয়েতাও চমৎকার। আমার মনে হচ্ছে নিজের অনুষদে অনুষ্ঠান উপভোগ করছি।

এসময় ইন্সটিটিউটের পরিচালক ড. গোলাম মহিউদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীদের এমন আয়োজন আমাদের আনন্দিত করে। বাঙ্গালী সাংস্কৃতিক জাতি। সংস্কৃতি আমাদের প্রাণ। এখানে এসে আমি আমার ছেলে বেলায় হারিয়ে যাচ্ছি। তোমাদের প্রাণবন্ত আয়োজন সাফল্যমণ্ডিত হোক। এমন সৃজনশীল কাজের সাথে আমরা সব সময়ই আছি।

আরকে/

এই বিভাগের আরও খবর