চীন থেকে পণ্য এনে দেওয়ার নামে প্রতারণা, আটক র্যাবের হাতে
নিজস্ব প্রতিবেদক: চীন থেকে পণ্য এনে দেওয়ার কথা বলে ভিসা ও পাসপোর্ট প্রদর্শন করে বিশ্বাস স্থাপন করে লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া এক সাইবার প্রতারককে আটক করেছে র্যাব।
গতকাল শনিবার (১২ মার্চ) রাত নয়টায় নগরীর বাকলিয়া থানার রাহাত্তরপুল এলাকা থেকে তাকে আটক করে। রোববার (১৩ মার্চ) দুপুরে র্যাবের গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আটক এস এম তানভিরুল আলমের (২৫) বাড়ি হাটহাজারী উপজেলার ছিপাতলী ইউনিয়নে। সে এস এম শাহ আলমের ছেলে।
র্যাব জানায়, গেল ১৭ জানুয়ারি এক ভুক্তভোগী ‘চাইনিজ প্রডাক্ট ইমপ্রটার (হোলসেল, প্রে-অর্ডার, শিপিং) ইন বাংলাদেশ’ নামে এক ফেসবুকে পেইজ শীতের পণ্যের জন্য পোস্ট করেন। ওই পোস্টে তানভির ফেসবুকের ইনবক্সে মেসেজ ভুক্তভোগীকে পণ্য আছে জানিয়ে যোগাযোগ করতে বলেন। কথা বলার এক পর্যায়ে নির্ধারিত পণ্যের ২০ হাজার টাকার ৫০ শতাংশ অগ্রিম পরিশোধের বিষয়ে কথা হয়। কথা মতো ভুক্তভোগী বিকাশের মাধ্যমে তানভিরুলকে ১০ হাজার ৭৫ টাকা পাঠান। পরবর্তীতে গত ২ ফেব্রুয়ারি পণ্যের বাকি টাকা দিয়ে পণ্য বুঝে নেওয়ার জন্য ফোন করেন। কিন্তু ফোন বন্ধ থাকায় অনেক চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি। গত ৩ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী নগরীর পাঁচলাইশ থানায় লিখিত অভিযোগের পাশাপাশি র্যাবকে জানায়। এরপর র্যাব সাইবার প্রতারককে আটকে অভিযান নামে।
তানভিরকে আটকের পর র্যাব জানায়, চায়না হতে পণ্য এনে দেওয়ার কথা বলে চায়না ভিসা ও পাসপোর্ট প্রদর্শনের মাধ্যমে বিশ্বাস স্থাপন করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা নিয়ে আদায় করতো তানভির। সে অনলাইনে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করে নেয়। প্রায় নিম্নমানের পণ্য এবং আসল পণ্য না দিয়ে আলু,পটল, পেঁয়াজ বা সাবানের মতো পণ্য পাঠিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নূরুল আবছার জানান, প্রতারণার করে মানুষের কাছ থেকে বিকাশের টাকা আদায় করকে নিজের নম্বর না দিয়ে পরিচিত নিরক্ষর ও নিম্ন আয়ের মানুষের নম্বর ব্যবহার করতো। কেউ টাকা পাঠানোর পর বিকাশের অ্যাকাউন্ট-ধারীকে চিকিৎসার জন্য টাকা পাঠিয়েছে বলে জানায়। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার জন্য থানায় পাঠানো হয়েছে।
আরকে/