মায়ের জন্য ওষুধ আনতে গিয়ে প্রাণ হারালো মেয়ে
ডেস্ক নিউজ:মায়ের জন্য পাগলের মতো ওষুধ খুঁজছিলেন ইউক্রেনের ভ্যালেরিয়া মাকসেটস্কা। রাশিয়ার হামলায় প্রাণ গেলো এই ইউক্রেনীয় নারীর। রাজধানী কিয়েভে তিনি চিকিৎসাকর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন।
শনিবার (১২ মার্চ) মর্মস্পর্শী এ ঘটনার খবর উঠে এসেছে এনডিটিভি, ডেইলি মেইল, দ্য স্কটিশ সানসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।
দোনেৎস্কতে রুশ বাহিনীর হামলার মধ্যেও কাজ করেন তিনি। এরপর মাকে নিয়ে চলে যান রাজধানী কিয়েভে। দেশ ছাড়ার প্রস্তাব পেলেও তা ফিরিয়ে দিয়েছেন বার বার। অবশেষে দেশের মাটিতেই প্রাণ গেলো তার।
কিয়েভের কাছের একটি শহরে রাস্তায় রাস্তায় হন্যে হয়ে অসুস্থ মায়ের জন্য ওষুধ খুঁজছিলেন মার্কিন সাহায্য সংস্থা ইউএসএইডের কর্মী ভ্যালেরিয়া। ওই শহর হয়েই কিয়েভের পশ্চিম দিকে যাচ্ছিল রুশ সেনাদের একট গাড়িবহর।
এ সময় রুশ গাড়িবহর দেখে রাস্তার পাশেই দাঁড়িয়ে যায় ভ্যালেরিয়াকে বহনকারী গাড়িটি। ওই গাড়ি লক্ষ্য করেই হামলা চালায় রাশিয়ার সেনারা। ট্যাংক থেকে ছোড়া গুলিতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ভ্যালেরিয়া, তার মা ইরিনা এবং তাদের গাড়ির চালক ইয়ারোস্লাভ।
ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউএসএইডের প্রশাসক সামান্থা পাওয়ার। তিনি বলেন, নিজের ৩২তম জন্মদিনের মাত্র কয়েক দিন আগেই রাশিয়ান সেনাবাহিনীর হাতে প্রাণ হারাল উদার মানসিকতার ভ্যালেরিয়া।
সামান্থা আরও বলেন, এর আগে একবার দোনেৎস্কের গোলাগুলি থেকে বেঁচে যান ভ্যালেরিয়া। এরপর তিনি চলে আসেন কিয়েভে এবং কাজ শুরু করেন ইউএসএইডের সঙ্গে। সেখানে তিনি পরিচিত হয়ে ওঠেন ‘দয়াময় হৃদয়ের একজন সাহসী নারী’ হিসেবে।
মআ/চখ