chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

কর্ণফুলী টানেল: নির্মাণের শেষ পর্যায়ে এসে যানজট নিয়ে মহাপরিকল্পনা

রকিব কামাল: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশ নিয়ে টানেলের নির্মাণকাজের শেষে পর্যায়ে এসে দুই প্রান্তের সম্ভাব্য যানজট নিরীসণে মহাপরিকল্পনা করতে বসেছে কর্তৃপক্ষ। টানেলের সঙ্গে যুক্ত হওয়া সড়কে ১০ বছর পর গাড়ির চাপে যানজট সমস্যা বাড়বে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) পক্ষ থেকে এমন সর্তকর্তা বার্তার পর নড়চড়ে বসেছে সেতু বিভাগ। এ লক্ষ্যে দফায় দফায় বৈঠকে বসছে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বৈঠকে চট্টগ্রাম ঘিরে অথনৈতিক কর্মযজ্ঞ বিবেচনায় এনে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের অবকাঠামো আগামী ১০০ বছরে উপযোগী করে তুলতে সাজানো হচ্ছে পরিকল্পনা।

সূত্র জানায়, কর্ণফুলী নদীর নেভাল একাডেমী থেকে আনোয়ারা প্রান্তের দৈর্ঘ্য সোয়া তিন কিলোমিটার। নির্মিত হওয়া টানেলের এক মাথা পতেঙ্গার নেভাল একাডেমির পাশ শুরু হয়েছে। নদীর তলদেশ দিয়ে এটি চলে গেছে আনোয়ারার দিকে। নদীর তলের এই পথের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। পুরো পথের পানির নিচ দিয়ে চলাচল করবে সারি সারি গাড়ি। কর্ণফুলী নদীর আনোয়ারায় রয়েছে কোরিয়ান ইপিজেড, চায়না ইপিজেড, চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানা (সিইউএফএল),পারকি সমুদ্র সৈকত।

এর মধ্যে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ী এলাকায় দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর হচ্ছে। বাঁশখালী উপজেলায় হচ্ছে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। মহেশখালীতে হয়েছে এলএনজি স্টেশন। বন্দরে সক্ষমতা বাড়াতে চলছে বে-টার্মিনাল নির্মাণের কাজ। এর মধ্যে বে-টার্মিনাল ২০২৪ সালে, টানেলর কাজ চলতি বছরের শেষে, নগরীর লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ ২০২৩ সালে মাঝামাঝিতে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ আবাসন ব্যবস্থা সম্প্রসারিত হবে। এক্ষেত্রে আনোয়ারা দিয়েই কক্সবাজার, বাঁশখালী ও মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরে যেতে হবে।

এছাড়া ঢাকাসহ দেশের বিভন্ন অঞ্চল থেকে আসা কক্সবাজার ও দক্ষিণ চট্টগ্রামগামী যানবাহনকে আর চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ করতে হবে না। সিটি আউটার রিং রোড হয়ে টানেলের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। এতে শহরের যানবাহনের চাপ কমে আসবে। চীনের সাংহাই নগরীর মতো চট্টগ্রাম হবে ওয়ান সিটি সিটি-টু টাউন। এখন যে পথ পেরোতে এক ঘণ্টা সময় লাগে, টানেল হলে লাগবে মাত্র পাঁচ মিনিট।

এত সব মেগা প্রকল্প চালু হলে আগামী ১০ বছর পর টানেলর দুই প্রান্তে যানজট বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি)। একই সঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানায়। বিষয়টি আমলে নিয়ে সেতু বিভাগ সিএমপি উপকমিশনার (ভূ-সম্পত্তি ও উন্নয়ন) এসএম মোস্তাইন হোসেন প্রধান করে ট্রাফিক নির্মাণ সংক্রান্ত কমিটি গঠন করা হয়। ইতিমধ্যে কমিটি বৈঠকে বেশ কয়েকটি বৈঠকে বসেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিএমপির উপকমিশনার (ভূ-সম্পত্তি ও উন্নয়ন) এসএম মোস্তাইন বলেন, টানেল চালু হলে যানজট বাড়বে এমন আশঙ্কার কথা আমরা বরাবরই বলে আসছি। ইতিমধ্যে কমিটির বেশ কয়েকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্তের আলোকে কিছু কাজ এগিয়েছে। সর্বশেষ ৩ মার্চ কমিটির একটি বৈঠক রয়েছে। সেখানে প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা তাদের মতামত তুলে ধরছে। যুগপযোগী ট্রাফিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কমিটি করে যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট আরেকটি একটি সূত্র জানায়, ২০০৬ সালে জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনের (জেবিআইসি) এক সমীক্ষায় চট্টগ্রাম নগরীর ভবিষ্যতের জন্য টেকসই যোগাযোগ অবকাঠামো বাড়াতে সমুদ্র তীরবর্তী একটি সড়ক নির্মাণের সুপারিশ করে। এ সুপারিশের ভিত্তিতে শহররক্ষা বেড়িবাঁধের ওপর আউটার রোড নির্মাণের প্রকল্প নেয় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ২০১৩ সালে একনেকে আউটার রিং রোড প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। পরের বছর পতঙ্গো এলাকা দিয়ে কর্ণফুলী টানেলর নির্মাণে চীনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে সরকার। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে আউটার রিং রোড উদ্বোধনের পর ওই বছরের জুলাইয়ে কাজ শুরু হয়। কিন্তু লিংক রোডের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু টানেল, বন্দরের বে-টার্মিনাল, মিরসরাই ইকোনোমিক জোন ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সংযোগস্থল হওয়ার পরও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে কোনো ধরনের সমন্বয় করেনি সংস্থাটি। খোদ সিডিএ আউটার রিং রোড প্রকল্পটির সুফল নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে।

জানতে চাইলে সিডিএ প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, লিংক রোড প্রকল্পের আর কার্যকর করতে আমরা লিক রোড-২ প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এ প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে বায়োজিদের ফৌজদারহাট পর্যন্ত কার্যক্রম সাজানো হয়েছে। এখন তো টোল রোড দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। তবে নিয়ন্ত্রণিতভাবে গাড়ি চলাচলের জন্য প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-চট্টগ্রামমুখী বাসের জন্য দুটি ইউলুপ টার্ন নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে নগরীর বায়োজিদ থেকে উল্টে দিক দিয়ে লিংক রোডের যাওয়ার পথে উপরে একটি ইউ লুপ টার্ন হবে। আবার ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গাড়ি আরেকটি ইউলুপ টার্ন দিয়ে লিংক রোড দিয়ে প্রবেশ করবে। এখানে একটি সার্ভিস পয়েন্ট করার পরিকল্পনা রয়েছে। কেননা বঙ্গবন্ধু টানেল, বে-টার্মিনাল ও ইকোনোমিক জোনের কারণে গাড়ির চাপ বাড়বে। এসব প্রকল্পের যাবতীয় কাগজপত্র মার্চ-এপ্রিলে ঢাকায় পাঠানো হবে।

প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টারা জানান, মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। এর মধ্যে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল বোরিং মেশিন দিয়ে (টিবিএম) দিয়ে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ। দুটি সুড়ঙ্গেও কাজ করতে গিয়ে প্রকল্পের অর্ধেক সময় ব্যয় হয়েছে। এক্ষেত্রে চীন ও বাংলাদশের অভিজ্ঞ শ্রমিকের প্রয়োজন পড়ে।

এর মধ্যে টানেলের প্রতিটি সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। দুই সুড়ঙ্গে দুটি করে মোট চারটি লেন থাকবে। মূল টানেলের সঙ্গে পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক থাকবে। আর আনোয়ারা প্রান্তে রয়েছে ৭২৭ মিটার দীর্ঘ উড়ালসেতু।

চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত বহুতল টানেল প্রকল্পের কাজ ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে। মাসিক ভিত্তিতে জানুয়ারি মাসে ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বাস্তবায়ন হয়েছে ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। বর্তমানে খনন শেষ হওয়া দ্বিতীয় সুড়ঙ্গের ভেতরে সড়ক তৈরীতে স্ল্যাবসহ অভ্যন্তরীণ কাজ চলছে। একই সঙ্গে টানেলের পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ চলছে। এছাড়া টানেলর সঙ্গে যুক্ত আনোয়ারা প্রান্তে দুইটি সেতুর কাজ চলমান রয়েছে।

নির্ধারিত সময় ডিসেম্বরের মধ্যে টানেলের কাজ সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর্ণফুলী টানেলের প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, সর্বশেষ জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ৮০ ভাগ কাজের অগ্রগতি হয়েছে। এ পর্যায়ে টানেলের দ্বিতীয় সুড়ঙ্গের ভেতরে সড়ক নির্মাণের জন্য স্ল্যাব, সড়ক বাতিসহ অভ্যন্তরীণ কাজ হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। প্রকল্পের সংশ্লিষ্টদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই। তবে বিভিন্ন পরিস্থিতি কারণে অনেক সময় আমাদের কিছ করার থাকে না। বর্তমানে টানেলে ২৩০ জন চীনা নাগরিকসহ প্রায় হাজারের বেশি শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছে।

বর্তমান সরকারের অধীনে চলা মেগা প্রকল্পের মধ্যে আরেকটি বিশেষত্ব অর্জন করেছে কর্ণফুলী টানেল। এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়েনি। দেশে অন্যান্য বড় প্রকল্পে মাঝ পথে এসে মেয়াদ ও ব্যয় বাড়নোর ঘটনা ঘটেছে অহরহ।  তবে ভৌত কাজ শেষ হলেও, আর্থিক লেনদেনের সময় শেষ হতে আরও সময় লাগবে। এ জন্য চায়না এক্সিম ব্যাংকের দেয়া ঋণের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর দেওয়া এক চিঠিতে ঋণের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য আবেদন জানানো হয়। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব বরাবরে প্রকল্প সাহায্যের অর্থ ব্যবহারের সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাবটি কার্যকর করতে একটি চিঠি দেয় সেতু বিভাগের উপ-সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আবুল হাসান। চিঠিতে ২০২৩ সালের ৬ পর্যন্ত চুক্তির অর্থ ছাড়করণের সময়সীমা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব দেয়া হয়। ইআরডি থেকে এই বিষয়ে চায়নার এক্সিম ব্যাংকের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে। বিদেশী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ইআরডি’র প্রস্তাব মেনে নিলে তবেই অর্থ ছাড় করণের মেয়াদ বাড়বে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, প্রকল্পের মাসভিত্তিক অগ্রগতিও আশাব্যঞ্জক। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও দাতা সংস্থার ঋণ ছাড়করণের মেয়াদ বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। কেননা কাজ শেষের পরেও ঠিকাদারি বিল ও আনুষাঙ্গিক ব্যয় নির্বাহের জন্য কিছু সময় প্রয়োজন। এ কারণে শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু টানেলের অর্থনৈতিক সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি ঋণের মেয়াদের বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায় বিবেচনা করবে।

 

টানেল নির্মাণে সরকারের সিদ্ধান্ত:

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, ভৌগলিক দিক থেকে কর্ণফুলী নদী চট্টগ্রাম শহরকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। এর এক ভাগে রয়েছে নগর ও বন্দর এবং অন্য ভাগে ভারী শিল্প এলাকা। এ নদীর সঙ্গে সংযোগ ঘটেছে হালদা, সাঙ্গু ও কাসালং নদীর। নদীর মরফলজিক্যাল বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী এই নদীতে পলি জমা একটি বড় সমস্যা। যা চট্টগ্রাম বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রমের জন্য বড় হুমকি। যানবাহনের চাপ কমিয়ে আনতে কর্ণফুলী নদীর ওপরে দুইটি সেতু করা হয়েছে। এরপরও যানবাহনের চাপ সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। এই পলি সমস্যার সমাধানে কর্ণফুলী নদীর ওপরে বাড়তি কোনো সেতু না করে তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এটি নিমাণের ফলে চট্টগ্রাম জেলার দুই অংশের মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হবে।

এ লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ৩০ জুন চায়না কমনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানী লিমিটেড (সিসিসিসি) এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের মধ্যে ৭০ কোটি ৫৮ লাখ মার্কিন ডলারের (১০ হাজার ৩৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা) একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির পর বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং চীনা এক্সিম ব্যাংক ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তি স্বাক্ষর হলেও কিছু শর্ত পূরণ করার কারণে ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর থেকে ঋণ চুক্তি কার্যকর হয়। এই প্রকল্পে চায়নার এক্সিম ব্যাংক ২ শতাংশ সুদে ৫ হাজার ৯১৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা এবং বাংলাদেশ সরকার ৪ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। নকশা ও অন্যান্য কাজ শেষে ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।

নচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর