chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চমেকে ওষুধ সরবরাহে গড়মিল পেলো দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সরকারিভাবে কেনা ওষুধ রোগীদের মধ্যে সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে গড়মিলের কথা জানিয়েছে দুর্নীত দমন কমিশন (দুদক)। এক্ষেত্রে গড়মিলের বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করে ঢাকায় পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াত।

বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) দুপুরে হাসপাতালে অভিযান শেষে তিনি সংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে বেলা সাড়ে ১১ টায় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াতের নেতৃত্বে দুদদের একদল টিম হাসপাতালে অভিযানে যায়। এসময় চার সদস্যদের মধ্যে সহকারী পরিচালক এনামুল হক, অফিস প্রধান নাজমুল সাদাত, কনস্টেবল মো. ইমরান হোসেন ছিলেন। তারা হাসপাতালের নিচ তলায় জেনারেল স্টোর, আইসিটি স্টোর, ২৬ নম্বর অর্থোপেডিক ওয়ার্ড ও ফার্মসীতে যান।

এসময় দুদকের কর্মকর্তারা ওয়ার্ডে ভর্তি  হওয়া চিকিৎসক, স্বাস্থ্যসেবী, রোগী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা হাসপাতালের জেনারেল স্টোর, ফার্মেসীর কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে করেন।

সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী এক রোগী হাসপাতালে ভর্তির পর সরকারিভাবে কেনা ওষুধ না পেয়ে দুদকের হটলাইন নম্বর ১০৬ নম্বরে অভিযোগ জানান। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দুদকের কর্মকর্তারা হাসপাতালে আসেন।

চমেকে ওষুধ সরবরাহে গড়মিল পেলো দুদক

অভিযানের শেষে  চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াত সাংবাদিক বলেন, এখানে ৪৬ টি ওয়ার্ড রয়েছে। একদিনে সবগুলো ওয়া্র্ড যাচাই করা সম্ভব নয়। আমরা প্রাথমিকভাবে অর্থোপেডিক ওয়াড ও ফার্মেসীতে গিয়েছি। এখানে রেজিস্ট্রার খাতায় কিছুটা গড়মিল পেয়েছি। আমরা বলেছি এই গড়মিলগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করব। আমরা এখনই কিছু চূড়ান্ত করে কিছু বলছি না। আমরা গড়মিলগুলো হেড অফিসে পাঠাব। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে লোকবল সংকটের কারণে উনারা এক দু মাস পরে রেজি্স্টারে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করেন। যদি গড়মিলের সত্যতা পাই পরবর্তীতে এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে।

তবে অভিযানে দুদক কর্মকর্তারা সন্তোষ  প্রকাশ করেছে বলে জানালেন চমেক হাসপাতালের ওষুধ স্টোর শাখার ইনচার্জ ডা. হুমায়ুন কবির।

তিনি বলেন, সরকারি ওষুধ রোগীদের সরবরাহের ক্ষেত্রে স্টোরে নাকি ওয়ার্ডে গড়মিল হচ্ছে সেটা তদন্ত করতে কর্মকর্তারা এসেছিলেন। আমি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছি। তারা আমাদের জবাবে সন্তুষ্ট হয়েছে। স্টোর থেকে ওষুধ সরবরাহের ক্ষেত্রে দুদক কর্মর্তারা আরও সচ্চতার জন্য অভিমত ব্যক্ত করেছে। আমাদের লোকবল সংকটের কারণে স্টোর রুম থেকে ওষুধ সরবরাহের বিষযটি নিয়মিত লেখা হয়নি জানিয়েছে।

হাসপাতালের অফিস বাইরে চলে যাওয়ার ডা. হুমায়ুন কবির বলেন, ইতিমধ্যে অর্থোপেডিক ওয়ার্ড থেকে চুরি যাওয়া ওষুধ চুরির পর মামলা করা হয়েছে।  আমরা এখন কোনো কর্মচারীদের মাধ্যমে ওষুধ পাঠাই না। ওষুধ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইনচার্জকে সরাসরি স্টের রুমে আসত হবে।

উল্লেখ্য, গেল ৭ ফেব্রুয়ারি ওষুধ চুরি অপরাধে দুই জনকে গ্রেফতারের পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল।

আরকে/নচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর