ভোজ্যতেল আমদানিতে ভ্যাট প্রত্যাহার হতে পারে!
অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : বাজারে ইতিমধ্যে সয়াবিন তেলের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে আসন্ন পবিত্র রমজান মাস। এমন প্রেক্ষাপটে বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভোজ্যতেল আমদানিতে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হতে পারে।
ভ্যাট প্রত্যাহারের সুপারিশ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এনবিআরকে চিঠি দিয়েছে। দেশে ভোজ্যতেল আমদানির মূল্য সংযোজন কর (মূসক তথা ভ্যাট) প্রত্যাহার নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ কাজ করছে।
বর্তমানে আমদানি ও উৎপাদন বা ব্যবসায়িক দুই পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ রয়েছে। দুই পর্যায়েই ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এনবিআরের ভ্যাট বিভাগ এখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ বিশ্লেষণ করছে। বর্তমানে আমদানি ও উৎপাদন বা ব্যবসায়িক দুই পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ রয়েছে।
দুই পর্যায়েই ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সে জন্য আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট কমানো হতে পারে বলে এনবিআরের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে ভ্যাট বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রস্তাবটি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। শিগগিরই এ বিষয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে। তা অনুমোদন হলে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। বর্তমানে এক লিটার ১৬৮ টাকা, দুই লিটার ২৩৫-৩৪৫ টাকা ও পাঁচ লিটার সাড়ে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ভোজ্যতেলের বেশ সংকটও আছে।
এ নিয়ে গত সপ্তাহে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ওই আলোচনায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অবশ্য ব্যবসায়ীদের দেওয়া ভোজ্যতেলের দাম আরও বাড়ানোর প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে।
সয়াবিন তেলের দাম স্থিতিশীল রাখার উপায় উদ্ভাবনের বিষয়ে আলোচনা করতে গত সোমবার আমদানিকারক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) নেতারা।
বৈঠকে আগামী তিন মাসের জন্য ভোজ্যতেলের ওপর শুল্ক-কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
চখ/আর এস