chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

রাজস্ব ফাঁকি: দুদকের ৩ মামলায় কাস্টমস কর্মচারীসহ ৩০ আসামি

চট্টলা ডেস্ক : চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের অন্তত ১৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে পৃথক ৩টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামিরা চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বিভিন্ন সময় প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন পণ্য খালাস করেছে যার মূল্য শুল্ক সহ ১০৪ কোটি টাকার অধিক।

জানা গেছে, জিপারসহ বিভিন্ন পণ্যের আমদানির আড়ালে উচ্চ শুল্কের সিগারেট আনা হচ্ছে দেশে। চট্টগ্রাম কাস্টমসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে শত কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। ২০১৮ সালে এ ধরনের তিনটি ঘটনায় ১০৪ কোটি ৯ লাখ ৯৩ হাজার ৩৭০ টাকার শুল্কফাঁকি দেওয়া হয়।

এসব ঘটনায় শনিবার (৫ মার্চ) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ তিনটি মামলা করেন।

মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেন দুদক চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাত। তিনি বলেন, কমিশনের অনুমতিক্রমে মামলা দুটি দায়ের করা হয়েছে।

মামলায় দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ করা হয়। মামলা তিনটিতে আমদানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

দুদক বলছে, শুল্কফাঁকি দিয়ে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে সিগারেট আমদানি এবং খালাস করা হয়েছে। তিন ঘটনায় আমদানিকারক ভিন্ন।

কিন্তু ঘটনার সঙ্গে জড়িত চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআইআর (অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ) শাখার একই কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জড়িত। এছাড়া তিনটি চালানই খালাস করে একই সিঅ্যান্ডএফ (ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং) এজেন্ট।

এর মধ্যে দুটি মামলায় আসামি হয়েছেন কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা সুলতান আহম্মদ,কম্পিউটার অপারেটর ফিরোজ আহমেদ, উচ্চমান সহকারী আব্দুল্লাহ আল মাছুম, অফিস সহায়ক সিরাজুল ইসলাম।

তাছাড়া প্রথম মামলায় আসামিরা হলেন, কাস্টম হাউজের প্রাক্তন রাজস্ব কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম, প্রাক্তন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাইফুন্নাহার জনি, সিএন্ডএফ এজেন্ট মেসার্স চাকলাদার সার্ভিসের মো. হাবিবুর রহমান অপু (৫৩), গ্রাহক মো. আব্দুল গোফরান, হামীম গ্রুপের কম্পিউটার অপারেটর মো. জহুরুল ইসলাম, গ্রাহক আবুল কালাম ও মেসার্স জারার এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মাহবুবুর রহমান। তাদের বিরুদ্ধে ৫৬ কোটি ৬৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯৭৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

অপর মামলায় আসামি করা হয়, কাস্টম হাউসের সহকারী প্রোগ্রামার কামরুল হক, মিজানুর রহমান চাকলাদার, মফিজুল ইসলাম লিটন, মুভিং ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক আব্দুল হান্নান দেওয়ান, সিএন্ডএফ এজেন্ট মেসার্স চাকলাদার সার্ভিসের মো. হাবিবুর রহমান অপু, আব্দুল গোফরান ও হামীম গ্রুপের কম্পিউটার অপারেটর জহুল ইসলাম।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর