মারা গেছেন গীতিকার কাওসার আহমেদ চৌধুরী
বিনোদন ডেস্ক : ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে’, ‘যেখানেই সীমান্ত তোমার সেখানেই বসন্ত আমার’, ‘আমায় ডেকো না ফেরানো যাবে না’ প্রভৃতি কালজয়ী গানের গীতিকার কাওসার আহমেদ চৌধুরী মারা গেছেন।
আজ মঙ্গলবার (২২ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে তিনি মারা যান। তার ছেলে প্রতীক বাবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে কাওসার আহমেদ চৌধুরী করোনাতেও আক্রান্ত হয়েছেন। গত ১০ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে প্রখ্যাত গীতিকার ও জ্যোতিষী কাওসার আহমেদ চৌধুরীকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়।
পরদিন সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ধানমন্ডির গ্রিন রোডের একটি হাসপাতালে। ৭৫ বছর বয়সী এই গীতিকারকে বৃহস্পতিবার ওই হাসপাতালের নিবিড় পরর্চযা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছিল।
শুক্রবার দুপুরে তার রক্তে হিমোগ্লোবিন মাত্রাতিরিক্ত কমে যাওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে রক্তের (বি পজেটিভ) প্রয়োজন পড়ে। তিনি অনেকদিন তিনি কিডনি ও স্নাযুজনিত জটিলতায় ভুগছেন। দুইবার স্ট্রোক করেন।
তখন তার ছেলে আহমেদ শাফি চৌধুরী (প্রতিক) গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, বাবার মাল্টিপল অর্গান ফেইলিওর, জানি না ঠিক কী হবে! বাবার রক্তের প্রয়োজন ছিল। রক্ত দেওয়া হয়। এই মুহূর্তে বাবার জন্য দোয়া করা ছাড়া আমাদের আর করার কিছু নেই।
আজ মঙ্গলবার (২২ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অধীনে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় গোয়েন্দা হিসেবে তথ্য সংগ্রহের কাজ করা কাওসার আহমেদ চৌধুরী সৃষ্টিজীবনে লিখেছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান।
ফিডব্যাক, এলআরবি, মাইলস-এর মতো শীর্ষ ব্যান্ডসহ সামিনা চৌধুরী, লাকি আখান্দ, কুমার বিশ্বজিৎ, নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর মতো স্বনামধন্য শিল্পীরা তার রচিত গান গেয়েছেন। তিনি জ্যোতিষী হিসেবেও বেশ পরিচিত।
কাওসার আহমেদ চৌধুরীর লেখা জনপ্রিয় কয়েকটি গানের মধ্যে রয়েছে ‘যেখানেই সীমান্ত তোমার সেখানেই বসন্ত আমার’, ‘আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে মনে পড়ল তোমায়’, ‘আমায় ডেকো না ফেরানো যাবে না’, ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে’, ‘এই রুপালি গিটার ফেলে’, ‘মৌসুমি কারে ভালোবাসো তুমি’, এক ঝাঁক প্রজাপতি ছিলাম আমরা’ ও ‘এলোমেলো বাতাসে’।
চখ/আর এস