chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বিটরুট দিয়ে ত্বক ও চুলের সমস্যার সমাধান

ডেস্ক নিউজ:এই এক উপাদান ব্যবহারের ফলে ত্বক ও চুলের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হবে। এমনকি এই উপাদান স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী।আসুন জেনে নিই কিভাবে এই সমস্যার সমাধান করবেন।

বিটরুটে থাকে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন এ, সি, ক্যালসিয়াম ও আয়রন। ত্বক ও চুলের যাবতীয় সমস্যার সমাধান করতে পারে এই উপাদান।ত্বকের যত্নে বিটরুট

সপ্তাহে অন্তত ১-২ বার এভাবে বিটরুট ব্যবহারে ত্বকের ভেতরে বাড়বে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মাত্রা। ফলে বলিরেখা দূর হয়ে ত্বক হবে টানটান।বিটরুটে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‍সি।ত্বকের কালচে ভাব ও যেকোনো ধরনের দাগ দূর হয়।

চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়। এজন্য বিটরুটের রস তুলোয় করে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন

ঠোঁটের সৌন্দর্য অর্থাৎ গোলাপি করতে প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে বিটরুটের রস লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন

এজন্য বিটরুট ব্লেন্ড করে রস বানিয়ে তা মুখে ব্যবহার করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। তবে বিটরুটের রসকে মুখে লাগানোর পাশাপাশি যদি নিয়মিত পান করা যায়, তাহলেও সমান উপকার মেলে।

ত্বকের আর্দ্রতা ফেরায় বিটরুটে থাকা পুষ্টিগুণ। ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার কারণে জেল্লা কমে ও চর্মরোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে বিটরুটের জুস রাখুন। নিয়মিত বিটের রস পান করলে ত্বক ও শরীরে পানির ঘাটতি দূর হবে ও মিলবে পুষ্টি।

আর যদি বিটের সঙ্গে গাজরের রস মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করেন, তাহলে ত্বকের উজ্জ্বলতা কয়েকদিনের মধ্যেই বাড়বে।

সানবার্নের সমস্যায় অনেকেরই ত্বক হয়ে পড়ে কালচে। এক্ষেত্রে যদি বিটরুটকে কাজে লাগাতে পারেন, তাহলে বেশ উপকার পাবেন।এজন্য ১ চামচ বিটরুটের জুসের সঙ্গে ১ চামচ টকদই মিশিয়ে নিন। এরপর ত্বকের সানবার্নের স্থানে ব্যবহার করুন। এরপর ২০-২৫ মিনিট অপেক্ষা করে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারাই বেশি ব্রণের সমস্যায় ভোগেন। বিটরুটে থাকা অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান ব্রণ সৃষ্টিকারী জীবাণুদের মেরে ফেলে।এ সমস্যার সমাধানে সম পরিমাণ বিটরুটের জুস ও টমেটোর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর মিশ্রণটি সারা মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।শুকিয়ে যেতেই তা ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাক নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণ তো দূরে থাকবেই, একই সঙ্গে যে কোনো ধরনের ত্বকের দাগও মিলিয়ে যাবে।

চুলের যত্নে বিটরুট

একদিন পরপর যদি বিটরুটের রস দিয়ে চুল ধোয়া যায়, তাহলে স্ক্যাল্পের ভেতরে পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যে কারণে হেয়ারফলের মাত্রা তো কমেই, একই সঙ্গে চুলের জেল্লা বাড়ে চোখে পড়ার মতো। এ ছাড়াও প্রাকৃতিক উপায়ে চুল কালার করতেও ব্যবহার করতে পারেন বিটরুট।

প্রতিদিনের ডায়েটে বিটরুটের রসকে অন্তর্ভুক্ত করলে একাধিক উপকার মেলে। বিশেষ করে লিভার ফাংশনের উন্নতি ঘটে।একই সঙ্গে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, শরীরের ভেতরে প্রদাহের মাত্রা কমে, ক্লান্তি দূর হয়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে ও শরীরে উপস্থিত টক্সিক উপদান বেরিয়ে যায়।

মআ/চখ

 

এই বিভাগের আরও খবর