chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ইসলামী ব্যাংকের ভুয়া জমা স্লিপ দেখিয়ে প্রতারণা করতো হান্নান

ডেস্ক নিউজঃ  সিটি ব্যাংকের অ্যাপস থেকে ফান্ড ট্রান্সফারের ম্যাসেজ এডিট করে অফিসার সেজে ইসলামী ব্যাংকের ভুয়া জমা স্লিপ দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এসময় তার কাছ থেকে ইসলামী ব্যাংকের ২টি জাল বক্স সীল উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত  মো. মজিবুর রহমান প্রকাশ হান্নান (২৮) ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানার শুভপুর ইউপির মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে।

রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) খুলশী থানার ঝাউতলা এলাকার মাজারগলি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পতেঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, মজিবুর রহমান একজন শিক্ষিত বেকার যুবক। ট্রান্সপোর্টের ব্রোকার হিসাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে মালামাল পরিবহনের জন্য গাড়ি সরবরাহ করতেন তিনি। গেল  ১১ জানুয়ারি ম্যাক্স গ্রুপের পতেঙ্গা হর্স ইয়ার্ড থেকে ১৭ হাজার ৩১০ কেজি এমএস প্লেট মানিকগঞ্জ ম্যাক্স ইনফ্রা ফ্যাক্টরিতে পাঠানোর জন্য ম্যাক্স গ্রুপের পতেঙ্গা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ইনভেন্টরি ম্যানেজার মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম হান্নানকে ২টি গাড়ি পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেন। হান্নান দুইটি ট্রাক পতেঙ্গা হর্স ইয়ার্ডে পাঠান। এরপর মালামাল নিয়ে গাড়ি দুইটি ওই দিন সন্ধ্যা ৭টায় মানিকগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে।

পরদিন ১২ জানুয়ারি মালামাল বহনকারী একটি গাড়ি পৌঁছলেও অপর গাড়িটি পৌঁছায়নি। ম্যাক্সের পক্ষ থেকে হান্নানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গাড়িটি মাঝপথে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পৌঁছতে দেরি হচ্ছে। এর দুইদিন পরও গাড়িটি না পৌঁছলে হান্নান আবার জানায়, চালক মালামালগুলো অন্য কোথাও বিক্রি করে পালিয়ে গেছে। তবে পিকআপে থাকা মালামালের দাম ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা তিনি পরিশোধ করে দিতে চান এবং একটি একাউন্ট নাম্বার দিতে বলেন। ম্যাক্স কোম্পানি থেকে ইউসিবিএলের একটি একাউন্ট নাম্বার দেওয়া হয়। তার ঠিক একটু পর হান্নান সিটি ব্যাংকের অ্যাপস থেকে ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করেছে বলেন। ম্যাক্স কর্তৃপক্ষ ব্যাংকে যাচাই করে জানতে পারেন কোন টাকা ক্যাশইন হয়নি। পরে হান্নানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মোবাইল বন্ধ করে দেন। এ ঘটনায় ম্যাক্সের আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ আরো জানায়, হান্নান নিজেকে সাপ্লাই ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান থেকে মালামাল সরবরাহের অর্ডার নেন। মালামাল দেয়ার আগে অগ্রিম টাকাও নেন। কিন্তু মালামাল সরবরাহ না করে সময় পার করতে থাকেন। গ্রাহক যখন মালামালের জন্য জোর দেয়, তখন তিনি জানান, মালামাল সরবরাহ করতে দেরি হবে এবং চাইলে আমি টাকা ফেরত দেব। টাকা দিতে ইসলামী ব্যাংকের একটি একাউন্ট নাম্বার দিতে বলেন। তারপর জমা স্লিপে ওই একাউন্ট নাম্বার লিখে রিসিভ সিল মেরে তা পূরণ করে ছবি তুলে গ্রাহককে দিয়ে প্রতারণা করেন।

 

কেএম/ চখ

এই বিভাগের আরও খবর