এসিল্যান্ডের ঘুষ চাওয়ায় দুদকে অভিযোগ সেবাপ্রার্থীর
নিজস্ব প্রতিবেদক: খতিয়ান সংশোধনের আদেশ প্রদানের কথা বলে দেড় লক্ষ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে চট্টগ্রাম সদর সার্কেলের সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও তাঁর সহকারীর বিরুদ্ধে। এ বিষযে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর চট্টগ্রাম শাখায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এক ভুক্তভোগী।
অভিযোগে এসিল্যান্ড মাসুমা জান্নাত ও তাঁর সহকারী মোঃ কবির এর বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ তোলা হয়েছে। রোববার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরিচালক বরাবর অভিযোগটি দায়ের করেন চট্টগ্রাম চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার আবদুল্লাহ আল মামুন ও ইমরান খান।
দুদকে দেয়া লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে সাব রেজিষ্ট্রী অফিস (ভূমি) কর্তৃক ৩ হাজার ৬২৩ কবলা মূলে মোহাম্মৎ ফরিদা বেগমের নিকট হতে ১ (এক) গন্ডা সম্পত্তি ক্রয় করেন আবদুল্লাহ আল মামুন। তপশীলে বি, এস নামজারী খতিয়ান নং-৪৪৭/১৪ বি. এস দাগ নং-১৯০৩২/ ১৯০৩৩ মৌরশী (১ গন্ডা) সম্পত্তি। কিন্তু তপশীলে আপোষ চিহ্নিত কোন দাগ নেই।
ভুক্তভোগীর নামে নামজারীতে সংশোধন (১-১২৫৮/২০১৭) সঠিক করার জন্য ২০১৯ সালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নিকট আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরেজমিনে তদন্তের জন্য সার্ভেয়ার নিয়োগ করেন। পরবর্তীতে সার্ভেয়ার কর্তৃক প্রতিবেদন অনুয়ায়ী বি. এস ১৯০৩২ দাগটি সংশোধনে দলিল মূলে এবং সরেজমিনে তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী সঠিক পান। সার্ভেয়ার রিপোর্টও অভিযোগকারীর পক্ষে পাওয়া যায় বলে দাবি তাদের। কিন্তু মূল মালিক বিদেশে চলে যান। ফলে, ২০১০ সালে চান্দগাঁও সদর রেজিষ্ট্রী অফিস ১৭৭৪ নং অপ্রত্যাহার যোগ্য পাওয়ার অব এ্যাটর্নী মূলে মোঃ ইমরান খাঁনকে সকল ক্ষমতা অর্পন করেন আবদুল্লাহ আল মামুন।
মোঃ ইমরান খাঁন বলেন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাসুমা জান্নাত এবং তার সহকারী মোঃ কবির নামজারী খতিয়ান সংশোধনের জন্য এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘুষ চেয়েছেন। এমনকি ঘুষ না দেওয়ায় খতিয়ান সংশোধনে কালক্ষেপন করছেন। প্রায় ৪ বছর পর্যন্ত কাজটি সম্পন্ন না করে ঝুঁলিয়ে রেখেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সদর সার্কেলের সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাসুমা জান্নাতের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
দুদক পরিচালক (চট্টগ্রাম অঞ্চল) মোঃ মাহমুদ হাসান বলেন, অভিযোগটি হয়তো ডেস্কে জমা দিয়েছেন। এখনো এ ধরনের কোন অভিযোগ আমার টেবিলে আসেনি। যে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আসতেই পারে। তবে দুদক সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।
জেএইচ/চখ