জিপিএ-৫ পেয়েও মেলেনি পছন্দের কলেজে ভর্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক: অনন্যা নগরীর এক দামি স্কুল থেকে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পেয়েছেনও জিপিএ-৫। সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে ১০টি কলেজে আবেদন করলেও প্রথম মেরিট লিস্টে নাম না থাকায় কিছুটা হতাশ তিনি।
তার মতো একই দশা রাউজানের এক প্রত্যন্ত স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া মো. সোলেমানের। আবেদন করে কলেজ না পাওয়ায় দুশ্চিন্তাও ভর করেছে তাদের উপর। জানতে চাইলে সোলেমান বলেন, আশা করেছিলাম নগরীর ভালো একটা কলেজে চান্স পাবো। কিন্তুু নামইতো আসলোনা। দেখি দ্বিতীয় মেরিট লিস্টে নাম আসে কিনা।
তাদের মতো এবারের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া সত্বেও কলেজ পায়নি মোট ৮৬৬ শিক্ষার্থী।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, এবারের এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে শুধুমাত্র গ্রুপ ভিত্তিক তিন বিষয়ে। যেখানে অংশগ্রহণ করেন ১ লাখ ৫৮ হাজার ৬৩৬ জন পরীক্ষার্থী। যাদের মধ্যে পাশ করেছেন ১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৫০ জন। আর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১২ হাজার ৭৯১ জন। এর মধ্যে শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিভাগ থেকেই পেয়েছেন ১১ হাজার ২৯১ জন। তাদের মধ্যে কলেজে ভর্তির অনলাইন আবেদন করেছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৭০৭ শিক্ষার্থী।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে প্রকাশিত প্রথম পর্যায়ের ফলাফলে দেখা যায় ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ১৬৭ জন। যেখানে আবেদন করেও কলেজ পাননি ৬ হাজার ৫৪০ শিক্ষার্থী। আর চট্টগ্রামে বোর্ডের আওতাধীন কলেজগুলোতে সর্বমোট আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজার।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড চট্টগ্রামের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক জাহেদুল হক চট্টলার খবরকে বলেন, আমাদের আওতাধীন সরকারি বেসরকারি কলেজ মিলিয়ে প্রায় ১ লাখ ৬৫ হাজার শিক্ষার্থীর সিট আছে। সুতরাং যারা প্রথম পর্যায়ে কলেজ পায়নি তাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। দ্বিতীয় পর্যায়ে তারা অবশ্যই কলেজ পাবেন। এছাড়া নগরীর ৯টি সরকারি কলেজ মিলিয়ে সিট আছে ৯ হাজারেরও বেশি। যারা আবেদন করেছেন তাদের অধিকাংশই হয়তো কাঙ্ক্ষিত কলেজ পাবেন না।
জানা যায়, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের ফল প্রকাশ করা হবে। এর আগে ৭-৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ২য় দফায় পুনরায় আবেদন করতে হবে এসব শিক্ষার্থীকে। তবে ২য় দফায় আবেদনকালে তাদের আর আবেদন ফি দিতে হবে না। অর্থাৎ কলেজের পছন্দক্রম পরিবর্তন, নতুন কলেজ যুক্তকরণ বা কোনও কলেজ বাদ দেওয়ার মাধ্যমে আগের আবেদনটি আপডেট বা সংশোধন করলেই চলবে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ভর্তির জন্য মনোনীতদের ১১-১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ২২৮ টাকা ফি পরিশোধ করে আসন নিশ্চিত করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ে আসন নিশ্চিত না করলে মনোনয়ন ও আবেদন বাতিল হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে মনোনীতদের আসন নিশ্চিত প্রক্রিয়া শেষে তৃতীয় পর্যায়ে আবেদনের সুযোগ ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
আবেদন গ্রহণ শেষে দ্বিতীয় পর্যায়ে মাইগ্রেশনের ফল ও তৃতীয় দফায় মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি।
তৃতীয় তালিকায় মনোনীতদের ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ২২৮ টাকা ফি পরিশোধের মাধ্যমে আসন নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার্থী কর্তৃক নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া শেষে কলেজে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি। ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। ভর্তি কার্যক্রম শেষে একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে ২ মার্চ।
জেএইচ/এমকে/চখ