chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

সাতকানিয়ায় নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ! 

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ১ নম্বর চরতী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হত্যার হুমকিসহ পরিবারের সদস্যদের অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। তিনি নির্বাচন ও পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছেন বলে জানান। তবে অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈনুদ্দীন চৌধুরী সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ উত্থাপন করেন। তিনি আনারস প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। অপরদিকে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন রুহুল্লাহ চৌধুরী যিনি স্থানীয় সাংসদ অধ্যাপক আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভীর শ্যালক হিসেবে পরিচিত।

স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈনুদ্দীন জানান, ইউপি নির্বাচনে ১ নম্বর চরতি ইউনিয়নে মনোনয়নের জন্য কেন্দ্রে পাঁচজনের নাম পাঠানো হয়েছিল। দলের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড গত ৬ জানুয়ারি চরতি ইউনিয়নের সাতকানিয়া উপজেলার আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার চৌধুরীকে মনোনয়ন দেয়। কেন্দ্রের নির্দেশনা মেনে বাকি প্রার্থীরা দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার ইচ্ছা জানান। কিন্তু গেল ৭ জানুয়ারি প্রদীপ কুমার স্থলে প্রয়াত জামায়াত নেতা মুমিনুল হক চৌধুরীর ছেলে রুহুল্লাহ চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

স্বতন্ত্র প্রার্থী বলেন, মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার পর আমি স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেই। নিয়ম অনুযায়ী মনোনয়ন জমা দেই। এরপর থেকে রুহুল্লাহ মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দিয়ে আসছেন।

মনোনয়ন প্রত্যাহারের আগের দিন ২১ জানুয়ারি ৫০-৬০ জন মুখোশধারী যুবক আমার বাড়িতে গিয়ে হইচই এবং অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করেন। এর পরের দিন মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে মেরে ফেলার হুমকির সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের অপহরণের হুমকি দেয়া হয়। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রুহুল্লাহ চৌধুরী চট্টলার খবরকে বলেন, তিনি আওয়ামী লীগের কর্মী হয়ে নৌকাকে ডুবাতে কাজ করছে। এরা সত্য বলতে জানে না, স্বার্থবাজ লোক। উনি তিন থেকে চারটা মামলার আসামি। তার ভাইও মামলার আসামি। তাদের বাড়িতে পুলিশ যাবে এটাইতো স্বাভাবিক। এলাকায় তার কোনো কর্মী বাহিনী নেই এবং গ্রহণযোগ্যতাও নেই। নৌকার বিরোধীতা করতেই এলাকা ছেড়ে শহরে আবাল-তাবোল কথা বলছে।

তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে স্বতন্ত্র  প্রার্থী হয়েছেন। এখন মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে তিনি জনগণকে ধোকা দিতে চাচ্ছেন।

আরকে/জেএইচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর