মাঘের শীতে বৃষ্টি, নগরে ভোগান্তিতে নিম্নশ্রেণী
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে বয়ে যাচ্ছে ভরা শীতের মাঘ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ। পশ্চিমা লঘুচাপে মেঘমালার কারণে চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাতের ঘনঘটা তৈরি হয়েছে। সেই সাথে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়েছে। অব্যাহত কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসে জেঁকে বসা শীতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও অসহায় মানুষ।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে চট্টগ্রাম ছাড়াও দেশের বরিশাল, খুলনা বিভাগের কয়েক জায়গায়, ঢাকা, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর ও ময়নমসিংহে হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির আভাস দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পাওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
চট্টগ্রামে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ১৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নেমে আসার পূর্বাভাসে দেওয়া হয়েছে। এর আগে গতকাল রোববার (২৩ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম শহরে কোনো বৃষ্টিপাত না হলেও সর্বনিম্ন ১৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছে। এদিন সকালে রোদেও দেখা মিললও, দুপুরে সূর্যের তেজ ছিল না বললেই চলে।
এদিকে শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার ঘরে ঘরে ঠান্ডা, সর্দি ও গলা ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছে বলে জানালেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. আলী জামান। তিনি বলেন,বেশ কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশিসহ গলার ব্যথার রোগী বেড়েছে। শিশু কিশোর থেকে বয়স্কদের ভুগতে হচ্ছে। এসব উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) ভোরে চট্টগ্রামে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। তবে এটি রেকর্ড করা হয়নি বলে জানিয়েছেন পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, কুয়াশার কারণে গত কয়েকদিন ধরে রাতে গরম পড়েছে। এখন পর্যন্ত ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছে। চট্টগ্রামে কোথাও কোথাও আজও বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে মেঘমালা কেটে গেলে হিমেল বাতাসে শীত আরও বাড়তে পারে।
নগরীর বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেওয়া কাগজ সংগ্রহ করে বিক্রি করেন দিনাজপুরের বাসিন্দা দিনমজুর লোকমান আলী। তবে ভোরের বৃষ্টিতে কাগজ ভিজে যাওয়ায় বাধে বিপত্তি। বাধ্য হয়ে পেট চালাতে প্রতি বস্তা ইটের কংক্রিট ৮০ টাকায় বিক্রি করছেন। লোকমানের পরিবারে এক ছেলে ও পাঁচ মেয়ে রয়েছে।সরকারি ও বেসরকারি তরফ থেকে কোনো সহায়তা না পাওয়ায় বস্তিতে শীতে কষ্টে দিনানিপাত করতে হচ্ছে তাকে।
আরকে/নচ/চখ