chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

রক্তদানে কমে ক্যান্সারের ঝুঁকি 

ডেস্ক নিউজ: রক্তদান মহৎ একটি উদ্যোগ। অন্যকে রক্ত দেওয়ার মাধ্যমে যেমন তার জীবন বাঁচানো যায়, ঠিক তেমনই রক্তদান করলে নিজের শরীরেরও উপকার হয়। রক্তদানের মাধ্যমে প্রতিবছর অসংখ্য মানুষের জীবন বাঁচে।

তবে রক্তদাতাকে অবশ্যই পূর্ণবয়স্ক অর্থাৎ ১৮ বছর বয়স হতে হয়। এক্ষেত্রে পুরুষের ওজন থাকতে হবে অন্তত ৪৮ কেজি এবং নারীর অন্তত ৪৫ কেজি। প্রতি তিন মাস অন্তর প্রত্যেক সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক নর-নারী নিশ্চিন্তে ও নিরাপদে রক্তদান করতে পারেন। এতে স্বাস্থ্যে কোনো ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে না।

অনেকেই ভেবে থাকেন, রক্তদান করলে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যায় ভুগতে হবে। ধারণাটি ঠিক নয়। আসলে রক্তদানে কোনো সমস্যা হয় না। কেননা একজন সুস্থ মানুষের শরীরে পাঁচ-ছয় লিটার রক্ত থাকে। এর মধ্যে সাধারণত ২৫০ থেকে ৪০০ মিলিলিটার রক্ত দান করা হয়, যা শরীরে থাকা মোট রক্তের মাত্র ১০ ভাগের এক ভাগ। রক্তের মূল উপাদান পানি, যা ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পূরণ হয়।

রক্তদান স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। রক্তদানের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ‘বোনম্যারো’ নতুন কণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয়। দুই সপ্তাহের মধ্যে নতুন রক্তকণিকা জন্ম হয়, ঘাটতি পূরণ হয়। রক্তদান ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। বছরে তিনবার রক্তদান শরীরে লোহিত কণিকাগুলোর প্রাণবন্ততা বাড়িয়ে তোলে ও নতুন কণিকা তৈরির হার বাড়ায়। নিয়মিত রক্তদানকারীর হার্ট ও লিভার ভালো থাকে। রক্তে কোলস্টেরলের উপস্থিতি কমাতে সাহায্য করে।

স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে পাঁচটি পরীক্ষা সম্পূর্ণ বিনা খরচে করা হয়। এর মাধ্যমে জানা যায় শরীরে অন্য বড় কোনো রোগ আছে কি না। যেমন—হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, ম্যালেরিয়া, সিফিলিস, এইচআইভি (এইডস) ইত্যাদি।

সিশা/জেএইচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর